অনলাইন সাংবাদিকতা: তথ্যপ্রবাহের নতুন ধারা
লিখেছেন- মো. বাকীবিল্লাহ
কোন ডিভাইস
অন্য কোন মেশিনের সাথে সংযুক্ত ও চালু থাকলে তাকে অনলাইন বলে। যেমন : কম্পিউটারের
সঙ্গে প্রিন্টারের সংযোগ চালু থাকলে বলা হয় প্রিন্টারটি অনলাইনে আছে। তবে বর্তমানে অনলাইন
শব্দটি দ্বারা বোঝায় ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়াকে।
অনলাইন সংবাদপত্র কী?
অনলাইন
সংবাদপত্র বলতে মূলত বোঝায় ইন্টারনেটভিত্তিক সংবাদপত্রকে। উম্মুক্ত বিশ্বকোষ
উইকিপিডিয়ায় অনলাইন সংবাদপত্রকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে-
An online newspaper, also known as a web newspaper, is a
newspaper that exists on the World Wide Web or Internet, either separately or
as an online version of a printed periodical.
এনসাইক্লোপিডিয়া
ডটকম-এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে-
The electronic version of a newspaper stored at a WEB SITE.
Usually the newspaper consists of content found in a conventional newspaper
supplemented by devices such as MAILING LISTS, EMAIL, DYNAMIC CONTENT,
interactive competitions, and BANNER ADVERTS. Many conventional news
organizations maintain Web sites which are almost exact replicas of their daily
paper-based newspapers.
উদ্ভব ও বিকাশ
১৯৬৯
সালে সর্বপ্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ৪টি কম্পিউটার অনলাইনে যুক্ত হয়। একই সালে বিবিসি ভিডিওটেক্সট
নামে একটি ইন্টার-অ্যাকটিভ মিডিয়া চালুর চেষ্টা করে। ওই সালেই নিউইয়র্ক
টাইমস একটি অনলাইন তথ্যভান্ডার তৈরি করে।
যতদূর
জানা যায়, ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম অনলাইন সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়। যার নাম ছিল নিউজ রিপোর্ট। যেটি ইউনিভার্সিটি
অব ইলিনয়েস (University
of Illinois)-এ PLATO system (Programmed Logic for Automated Teaching Operations)
ব্যবহার করে ব্রুস প্যারেলো চালু করেন।
পরবর্তী
সময়ে বিভিন্ন সংবাদপত্র তাদের ছাপাসংস্করণের পাশাপাশি অনলাইন সংস্করণ চালু করে। যার মধ্যে ১৯৯১ সালে
চালু হওয়া দ্য উইকেন্ড সিটি প্রেস রিভিউ পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে অবশ্য প্রায়
সব পত্রিকাই তাদের অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করে থাকে। তা ছাড়া ইন্টারনেটের
ক্রমান্বয়ে বিস্তৃতির ফলে শুধু অনলাইনেও অনেক সংবাদপত্র প্রকাশিত হচ্ছে। হাতে গোনা দুয়েকটি
সংবাদপত্র (The Wall
Street Journal, The Chronicle of Higher Education প্রভৃতি) ছাড়া প্রায় সকল সংবাদপত্রই তাদের সার্ভিস ফ্রি প্রদান
করছে।
The Los Angeles Times, The Washington
Post, USA Today ও The New York Times -সহ সব দৈনিকই বর্তমানে অনলাইন সংস্করণ বের করছে।
যুক্তরাজ্যের
টেলিগ্রাফ, গার্ডিয়ানসহ সব পত্রিকাই অনলাইন সার্ভিস চালু করেছে। তবে গার্ডিয়ান পত্রিকা
২০০৫ সালে পডকাস্টিং নামে এক নতুন সার্ভিস শুরু করে। পডকাস্টিং হচ্ছে সুনির্দিষ্ট
কিছু গ্রাহককে নিয়মিতভাবে ডিজিটাল মিডিয়া (অডিও, ভিডিও) পাঠানো।
ভারতে
টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্থান টাইম, দ্য হিন্দু, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস প্রভৃতি দৈনিক তাৎক্ষণিক নিউজ আপডেটসহ অনলাইন
সার্ভিস দিচ্ছে। বাংলাদেশেও প্রায় সবগুলো দৈনিক অনলাইন সংস্করণ চালু করেছে। তবে নয়া দিগন্ত, প্রথম আলো,
ইত্তেফাক, যুগান্তর, আমাদের সময়,
সমকাল নিয়মিত তাৎক্ষণিক সংবাদ আপডেট দিচ্ছে। তবে অধিকাংশের নিউজ
আপডেট অনেকটা কাট-পেস্ট মার্কা।
সত্যিকারের
অনলাইন সংবাদপত্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে সাউথপোর্ট রিপোর্টার (Southport Reporter) নামে ২০০০ সালে যুক্তরাজ্যে। এটি ছিল একটি আঞ্চলিক
সাপ্তাহিক সংবাদপত্র, যার কোন ছাপা বা অন্য কোন সংস্করণ ছিল না।
বর্তমানে
অর্থনৈতিক সংকটসহ বিভিন্ন কারণে অনেক প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী পত্রিকা তাদের ছাপা সংস্করণ
বাদ দিয়ে শুধু অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। উদাহরণ হিসাবে বলা
যায়, ২০০৯ সালের ১৭ মার্চ ছাপা বন্ধ হওয়া যুক্তরাষ্ট্রে ১৪৯ বছরের
ঐতিহ্যবাহী সংবাদপত্র Seattle
Post-Intelligencer এর কথা। এছাড়া ২০১০ সালে বন্ধ
হওয়া স্কটল্যান্ডের পত্রিকা Caledonian
Mercury -এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়।
হাইব্রিড সংবাদপত্র
কিছু
সংবাদপত্র আছে যেগুলো প্রধানত অনলাইনভিত্তিক কিন্তু মাঝে মাঝে সেগুলো ছাপা সংস্করণও
বের করে। এদেরকে হাইব্রিড সংবাদপত্র (Hybrid newspapers) বলে। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ
করা যায় annarbor.com -এর কথা। এটা প্রথমত একটি অনলাইন পত্রিকা। তবে সপ্তাহে এটি দুটি
ছাপা সংস্করণ বের করে।
সফট-কপি নিউজ শিট
নিউজ
শিট হচ্ছে এমন সংবাদপত্র যার একটি বা দু’টি পৃষ্ঠা থাকে। সফট-কপি শিট হচ্ছে
অনলাইন পত্রিকার মতো যা নির্দিষ্ট সময় পরপর আপডেট করা হয়।
ভবিষ্যৎ সংবাদপত্র
বর্তমানে
আবার এক ধরনের ইলেকট্রনিক পেপার বেরিয়েছে। যা দিয়ে ই- নিউজপেপার বানানোর পরিকল্পনা চলছে। ইতোমধ্যে এর পরীক্ষামূলক
সংস্করণ বের হয়েছে।
বিশ্বের
কিছু জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদপত্র
১. বিবিসি
অনলাইন
২. সিএনএন
ইন্টারঅ্যাকটিভ
৩. বিবিসি
নিউজ
৪. নিউউয়র্ক
টাইম
৫. এনবিসি
নিউজ
৬. হাফিংটন
পোস্ট
৭. ফক্সনিউজ
৮. গার্ডিয়ান
৯. রয়টার্স
১০. ওয়াল
স্ট্রিট জার্নাল
১১. ওয়াশিংটন
পোস্ট
১২. দ্য
টাইমস অব ইন্ডিয়া
বাংলাদেশের
কিছু জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদপত্র:
পাঠক অনলাইন সংবাদপত্র পড়ে কেন?
- খরচ নেই
ওয়াশিংটন
ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপে দেখা যায়, প্রায় সব পাঠকই অনলাইনে পত্রিকা পড়তে ভালোবাসে। তবে প্রতি ৫ জনে একজন
সে জন্য টাকা দিতে আগ্রহী।
জরিপে
দেখা যায়, আমেরিকানদের মধ্যে প্রতি দশ জনে ছয়জনই সংবাদের জন্য অনলাইন
সংবাদপত্র ব্যবহার করেন। তবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ছাড়া অন্য কেউ গ্রাহক ফি আদায়ের
ক্ষেত্রে তেমন একটা সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। জার্নালটি তার ওয়েবসাইট
ব্যবহারের জন্য বছরে ৭৯ ডলার ফি নেয়।
- প্রচুর সংবাদ থাকে
- পুঙ্খানুপুঙ্খ (In-depth) এবং পেছনের তথ্য জানা যায়
- ২৪ ঘণ্টা আপডেট হয়
- সংবাদ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের
বা সমমনাদের সঙ্গে আলোচনা করা যায়
- সংবাদের সঙ্গে অডিও
বা ভিডিও ক্লিপস পাওয়া যায়। যা রেডিও বা টিভির চাহিদা মেটায় অনেকাংশে।
অনলাইন সংবাদপত্রের আয়ের উৎস
- অনলাইন সংবাদপত্রের
আয়ের মূল উৎস বিজ্ঞাপন (ক্লাসিফাইড, প্রদর্শনীয়)
- গ্রাহক ফি
- আর্কাইভ
- কাস্টমাইজ সার্ভিস
- ট্রানজেকশন রেভিনিউ
(লিংক বিনিময় ইত্যাদি)
- নিউজ বিক্রি
অনলাইন সংবাদপত্রে মানুষ কী পড়ে?
নিউজপেপার
ন্যাশনাল নেটওয়ার্কের এক গবেষণায় দেখা যায়-
১. ব্রেকিং
নিউজ/ নিউজ আপডেট (৯০%)
২. স্থানীয়
সংবাদ (৮৩%)
৩. আবহাওয়ার
খবর (৭৭%)
৪. বিনোদন
(৭৫%)
৫. খাবার, রান্না-বান্না, ঘর-সংসার (৬১%)
৬. বাণিজ্য/প্রযুক্তি
(৬০%)
৭. খেলাধুলা
(৫৫%)
৮. স্বাস্থ্য
(৫৪%)
অনলাইন সাংবাদিকতা
অনলাইন
সাংবাদিকতা বলতে বোঝায় ইন্টারনেট পত্রিকা বা গণমাধ্যমে সাংবাদিকতা। বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া
এ ব্যাপারে বলা হয়েছে- Online
journalism is defined as the reporting of facts produced and distributed via
the Internet.
অনলাইন সাংবাদিকতার বৈশিষ্ট্য
১. তাৎক্ষণিকতা
যে কোন
ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই রেডিও টিভির মতো এতে প্রকাশ করা যায়। আবার মেইলে খবরের আপডেট
পাঠানোরও সুবিধা আছে। গুগল ফিডবার্নারসহ বিভিন্নভাবে এটা করা সম্ভব।
২. স্থায়িত্ব
অনলাইনে
প্রকাশিত রিপোর্টের স্থায়িত্ব অনেক বেশি। প্রকাশিত রিপোর্টগুলো আর্কাইভ করে রাখার ব্যবস্থা থাকায় তা
যে কোন সময় দেখা যায়। অন্য যে কোন মিডিয়ার (প্রিন্ট, রেডিও ও টিভি) চেয়ে এটা খুঁজে বের করা অনেক সহজ।
৩. উপভোগ্য
অনলাইন
সংবাদপত্রে লেখার পাশাপাশি গ্রাফিক্স, অডিও, গান,
ভিডিও ফুটেজ ও অ্যানিমেশন সংযুক্ত করা সম্ভব। ফলে এটা উপভোগ্য হয়ে
ওঠে।
৪. ইন্টার-অ্যাকটিভ
(interactive)
অনলাইন
সাংবাদিকতা একটি ইন্টার-অ্যাকটিভ প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে পাঠকের
মতামত জানা ও পাঠককে নিজের মতামত দ্বারা প্রভাবিত করার সুযোগ বিদ্যমান। এখানে একটি লেখার সঙ্গে
একই বিষয়ের অন্যান্য লিংক প্রদান করা যায়। ফলে পাঠক খুব সহজেই একই বিষয়ে অন্যান্য লেখা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন
করতে পারে। তাছাড়া এতে লেখার সূত্র উল্লেখ করা যায় বিধায় পাঠক রিপোর্টের
বা লেখার বস্তনিষ্ঠতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে।
৫. পূর্ণাঙ্গ, সমৃদ্ধ ও সর্বশেষ সংবাদ পরিবেশনা
অনলাইন
সংবাদপত্রে জায়গার কোন সমস্যা নেই। কিংবা রেডিও টিভির মতো সময়েরও সীমাবদ্ধতা নেই। ফলে একজন অনলাইন সাংবাদিক
তার স্টোরিকে বিভিন্ন তথ্যে সমৃদ্ধ করে প্রকাশ করতে পারেন। আবার প্রিন্ট মিডিয়ায়
একবার প্রকাশিত হয়ে গেলে তা আর সংশোধন করার সুযোগ থাকে না। কিন্তু অনলাইনে এ ধরনের
কোনো সমস্যা নেই। এ জগতের সাংবাদিকরা ঘটনা ঘটার সঙ্গেই তা আপডেট করে দিতে পারেন।
প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিকতার ওপর ইন্টারনেটের প্রভাব
প্রিন্ট
মিডিয়ার কর্মী, সাংবাদিক ও সম্পাদকদের কাছে ইন্টারনেট বর্তমানে সময় বাঁচানো
গবেষণাসম্পদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিশেষ করে কোন বিষয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড জানার ক্ষেত্রে এটি বিশেষ
ভূমিকা রাখছে। ইন্টারনেটে প্রিন্ট ও সম্প্রচার মিডিয়ার বিভিন্ন প্রবন্ধ-নিবন্ধ, কলাম,
ধারাবাহিক ফিচার পাওয়া যায়, যা জ্ঞানার্জনে অনেক সহায়ক হচ্ছে।
কীভাবে
শুরু করবেন অনলাইন সাংবাদিকতা?
প্রথম
স্তর
১. প্রথমেই
আপনাকে সাংবাদিকতার প্রাথমিক ধারণা নিতে হবে। কীভাবে সংবাদ লিখতে
হয়, সংবাদের উপাদানগুলোই বা কী ইত্যাদি। সেটা আপনি বই পড়ে
জানতে পারেন। তাছাড়া এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কোর্সের আয়োজন করছে। সেখানেও অনেক কিছু
জানার আছে।
২. আপনাকে
অবশ্যই কম্পিউটার চালানো শিখতে হবে। এমএস ওয়ার্ডে বাংলা ও ইংরেজি লিখতে জানতে হবে। তাছাড়া ফটোশপ ও ইলাস্ট্রেটর
সম্পর্কে ধারণা থাকলে ভালো।
৩. ইন্টারনেট
সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু ওয়েব ব্যাসিক এবং প্রোগ্রামিং ভাষা শেখা থাকলে
ভালো। তবে প্রোগ্রামিং ভাষা খুব বেশি দরকার নেই। যাদের বিভিন্ন ব্লগে
লেখার অভ্যাস আছে তারা এক্ষেত্রে সামান্য হলেও এগিয়ে আছেন।
৪. লেখার
দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে কার্যকর উপায় হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে বেশি বেশি লেখা
এবং ভালো কোন লেখক বা সম্পাদকের দ্বারা সম্পাদনা করিয়ে নিজের ভুলগুলো চিহ্নিত করা।
২য় স্তর
১. প্রথমে
আপনার লেখার (ফিচার, নিউজ,
সাক্ষাৎকার ইত্যাদি) বিষয় নির্ধারণ করুন।
২. আপনার
বাছাই করা বিষয়ে কিছু নমুনা লেখা লিখে ফেলুন। এক্ষেত্রে নিজের কোন
ওয়েবসাইট থাকলে তাতে লেখাগুলো প্রকাশ করুন। নিজের ওয়েবসাইট না থাকলে হতাশার কিছু নেই। বর্তমানে অনেক ফ্রি
ওয়েবসাইট (বিভিন্ন ব্লগ,
ওয়ার্ডপ্রেস.কম ইত্যাদি) পাওয়া যাবে যেখানে
আপনি চাইলেই লিখতে পাবেন।
৩. এবার
ফ্রিল্যান্সারদের লেখার দায়িত্বে আছেন এমন দুয়েকজন সম্পাদক/সহ-সম্পাদক খুঁজে বের
করুন।
৪. তাদেরকে
আপনার পরিচয় প্রদান করে আপনি যে লিখতে ইচ্ছুক তা জানিয়ে চিঠি/মেইল করুন। তাদের কাছে অ্যাসাইনমেন্ট
চাইতে পারেন। তবে অবশ্যই তাদের কাছে আপনার লেখার দুয়েকটি নমুনা কপি পাঠাবেন। তাছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে
লেখার আইডিয়া নিয়ে সংশ্লিষ্ট সম্পাদকের সঙ্গে ফোনে বা মেইলে আলোচনা করতে পারেন।
৫. এসব
কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আপনার যোগাযোগ বাড়ান এবং আপনাকে লেখার সুযোগ দিতে
অনুরোধ করুন। একই সময়ে আপনার ব্লগ কিংবা সাইটে নিয়মিত লিখতে থাকুন।
উল্লিখিত
উপায়ে কাজ করলে অবশ্যই আপনি লেখার সুযোগ পাবেন, একথা বলা যায় নির্দ্বিধায়।
অনলাইন সাংবাদিকতা : নৈতিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা
অনলাইন
সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সংবাদকর্মীকে অবশ্যই দৃঢ় নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন হওয়া
উচিত। কারণ অনলাইন বর্তমানে একটি গবেষণা সম্পদ হিসেবে কাজ করছে। ফলে মিথ্যা ও বিকৃত
তথ্য দিয়ে কোন লেখা দিলে তা ইতিহাস বিকৃতির চরম পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। এছাড়া একজন পাঠক একই
সময়ে অনেকগুলো সংবাদপত্র পড়তে পারে। ফলে সঠিক তথ্য প্রদান না করলে সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র বিশ্বাসযোগ্যতা
হারাবে এবং আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
(লেখাটি প্রেসবার্তা থেকে সংগৃহীত)
No comments:
Post a Comment