Monday, December 30, 2013

যুদ্ধাহতের ভাষ্য-৫ ‘‘কাদের মোল্লার হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী আমি’’






সালেক খোকন
যুদ্ধাহতের ভাষ্য-৫ ‘‘কাদের মোল্লার হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী আমি’’
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৩


দিনটি ছিল ২৩ মার্চ ১৯৭১মধ্যরাতকালসী আহুরা গ্রামে আগুন দেয় বিহারিরাআগুনে পুড়ে ছাই হয় এক মাস্টারের বাড়িশুরু হয় লুটপাটপরের দিনই দুয়ারীপাড়ায় আগুন দেয় তারাপ্রাণভয়ে আমরা চলে যাই তুরাগ নদীর ওপারেআশ্রয় নিই বিরুলিয়া গ্রামে



ঢাকায় আর্মি নামে ২৫ মার্চ রাতেলোকমুখে সে খবর ছড়িয়ে পড়েসবার মধ্যে তখন আতঙ্কঅজানা ভয়আর্মি আসার শঙ্কা নিয়েই কাটতে থাকে আমাদের দিনগুলো



২৩ এপ্রিল সকালঘরে কোনো খাবার নেইবাবা বললেন, ‘চল, লাল ধান কেটে আনিগাঙের পাড়ে ছিল আমাদের জমিবিকেল পর্যন্ত ধান কেটে আমরা তা মাঠেই স্তূপ করে রাখিধান নিতে নৌকা নিয়ে আসবে ছোটভাই আমজাদ মোল্লাআমরা তার অপেক্ষায় থাকিবিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামেতবুও আমজাদের দেখা নেই



পাশেই ছিল আলব্দী গ্রামআমার বাবা ও মায়ের নানাবাড়িগ্রামের প্রায় সকলেই নিকটাত্মীয়আমরা রাতটা ওইগ্রামেই কাটানোর সিদ্ধান্ত নিইউঠি আমার খালু রোস্তম বেপারির বাড়ি



আলব্দী গ্রাম তখন নারী ও শিশুশূন্যবাড়িগুলোর পাহারায় পুরুষরাসময়টা ধান কাটারতাই বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা কৃষাণরাও আশ্রয় নেয় গ্রামে



২৪ এপ্রিল ১৯৭১ভোর তখনও হয়নিআলব্দী গ্রামের পশ্চিমে তুরাগ নদীর পাড়ে পাকিস্তানি সেনাদের হেলিকপ্টার নামেদূর থেকে আমরা তা স্পষ্ট দেখিনেমেই তারা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়আগুন ধরিয়ে দেয় বাড়িগুলোতে

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ্ব আমির হোসেন মোল্লা নিজে দেখেছেন কাদের মোল্লার হত্যাযজ্ঞ


যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ্ব আমির হোসেন মোল্লা নিজে দেখেছেন কাদের মোল্লার হত্যাযজ্ঞ
গ্রামে ঢোকার একমাত্র পথটি ছিল কাদের মোল্লা ও বিহারি আক্তার গুণ্ডা, নেওয়াজ ও ডোমাদের দখলেতারাও দলবল নিয়ে আলব্দী গ্রামে ঢোকে সশস্ত্র অবস্থায়পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে অংশ নেয় হত্যাযজ্ঞেগ্রামের নিরীহ, নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে নির্বিচারেপাশাপাশি চলে বাড়ি বাড়ি লুটতরাজ


খালুকে পালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করলেন বাবাকিন্তু তিনি যেতে রাজি হন নাবাবা তখন আমাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েনউত্তরদিকে ক্ষেতের পাশে ছিল একটি ছোট্ট খালখালের কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে থেকে আমরা তাদের হত্যাযজ্ঞ দেখি



সকাল তখন আনুমানিক ৯টাকুয়াশা পুরোপুরি কেটে গেছেখালের ৫০ গজ দূরে ধরে আনা হয় ৫০-৬০ জনকেতাদের লাইন ধরে দাঁড় করায় কাদের মোল্লার লোকেরাহঠাৎ গুলির শব্দএকে একে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে লাইনের সবাইপড়েই ছটফট করতে থাকেনমা গো, বাবা গোআর্তচিৎকারে ভারি হয়ে উঠে আলব্দী গ্রামের বাতাস



লাশগুলো পরে ফেলে দেওয়া হয় গ্রামেরই তিনটি কূপেকিছু লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয় তুরাগেআমার খালুর লাশ পড়েছিল বারান্দাতেবাড়িটি পুড়িয়ে দেয় পাকিস্তানি সেনা ও কাদের মোল্লার লোকেরাআগুনে ঝলসে গিয়েছিল খালুর শরীরের অর্ধেকটা



কাদের মোল্লার হত্যাযজ্ঞ দেখেছি আমিওইদিন তারা হত্যা করে ৩৪৪ জনকে৬৪ জন গ্রামের স্থানীয় লোকবাকিরা বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা কৃষাণস্থানীয়দের মধ্যে ২১ জনই ছিলেন আমার নিকটাত্মীয়তারা হলেনরুস্তম আলী, সলিমউল্লাহ, আ. আউয়াল মোল্লা, সুলেমান মোল্লা, করিম মোল্লা, জয়নাল মোল্লা, কাশেম মোল্লা, বদরুদ্দিন, জোরা মোল্লা, বিশু মোল্লা, অজল হক, ফজল হক, রহমান বেপারী, নবী মোল্লা, আলামত মিয়া, ধনা মৌলভী, ফুলচান, নওয়াব মিয়া, ইয়াছিন বানু, লালু চান ও সুনু মিয়া



কাদের মোল্লাকে কীভাবে চিনলেন?

  
‘‘মুক্তিযুদ্ধের আগেই আক্তার গুণ্ডা, ডোমা, নেওয়াজ ও কাদের মোল্লাকে চিনতামমিরপুরে বিহারি রিফিউজিদের সংখ্যা ছিল বেশিমাত্র পঞ্চাশটির মতো পরিবার ছিল বাঙালিওরা নির্ভরশীল ছিল সরকারি রিলিফের ওপরবাঙালিদের গাছ থেকে ওরা আম-কাঁঠাল চুরি করে নিতএ নিয়ে বহুবার তাদের সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্ব হয়েছেকখনও-কখনও তা রূপ নিয়েছে হাতাহাতিতে



এছাড়া সত্তরের নির্বাচনে আমরা ছিলাম বঙ্গবন্ধুর পক্ষেজামায়াতে ইসলামের দাড়িপাল্লার পক্ষে ছিল ওরামিরপুরে বিহারিদের নেতৃত্ব দিত আক্তার গুণ্ডাতাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল তৎকালীন ইসলামী ছাত্র সংঘের নেতা ও রাজাকার বাহিনীর অন্যতম সংগঠক কাদের মোল্লাস্থানীয় মেম্বার লতিফও ছিল তাদের পক্ষে সক্রিয়মিরপুর ১০ নম্বরে তাদের একটি কার্যালয় ছিলওখানে নিয়মিত যাতায়াত ছিল জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মো. মুজাহিদ, কামরুজ্জামান, মীর আবুল কাশেম, সরদার আবদুস সালাম প্রমুখের’’



১৯৭১ এ কাদের মোল্লার হত্যাযজ্ঞের কথা এভাবেই বলছিলেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আমির হোসেন মোল্লামিরপুরে আলব্দী গ্রামের গণহত্যায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে ২০০৮ সালে ২৩ জানুয়ারিতে তিনিই প্রথম জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লাসহ দশজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেনআদালতের নির্দেশে ওই পিটিশনটি পল্লবী থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয় ২৫ জানুয়ারি তারিখেমামলার নং ৬০


হাঁটুর উপরের ক্ষত দেখাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্রা
মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লার বাড়ি ঢাকা মহানগরের পল্লবী থানার দুয়ারীপাড়ায়বর্তমান বয়স ৬৭ বছরতার বাবার নাম সুরজত আলী মোল্লা ও মা রাহিমা খাতুনচার ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়শিক্ষাজীবনের শুরু মিরপুরের সিন্তাত হাই স্কুলে১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন মিরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীমুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের গুলির আঘাতে তার ডানপায়ের হাঁটুর ওপরে ও ডানহাতে মারাত্মক জখম হয়


আলাপচারিতায় কথা উঠে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়েমুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লা বলেন, ‘‘ওইদিন আমরা প্রায় তিনশ জন গিয়েছিলাম রেসকোর্স ময়দানেসবার হাতে হাতে ছিল বাঁশের লাঠিমিরপুরে আমাদের নেতৃত্ব দেন মান্নান খান ও আক্কাস মেম্বারবঙ্গবন্ধু বললেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দিবতবু এ দেশকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহশুনেই লাঠি উঁচিয়ে আমরা জয় বাংলাশ্লোগান তুললামসেদিন দেশের জন্য অন্যরকম এক অনুভূতি নিয়ে ফিরছিলামবুঝেছিলাম সংগ্রাম ছাড়া মুক্তি নেই’’



আপনারা তখন কী করলেন?



উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলে সাতদিনের ট্রেনিং দেওয়া হয় আমাদেরমন্টু ভাই ছিলেন ট্রেনারফিরে এসে নিজ উদ্যোগে বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভেতর আমি ২৭ জনকে কাঠের রাইফেল দিয়ে ট্রেনিং করাই’’



মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে আমির হোসেন বলেন, ‘‘আলব্দী গ্রামের হত্যাযজ্ঞ আমাকে প্রবলভাবে নাড়া দেয়তখনই সিদ্ধান্ত নিই মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ারকিন্তু বাবা-মা টের পেয়ে যানআমাকে আটকে রাখতে তারা আমায় বিয়ে করিয়ে দেনকিন্তু সে মায়ার বাঁধনও আমাকে আটকাতে পারেনিবিয়ের সতের দিনের মাথায় আমি গোপনে বাড়ি ছাড়লামমায়ের কোমরের বিছা আর ৫৬ টাকা ছিল সম্বল’’



কোথায় ট্রেনিং করলেন?



‘‘সময়টা মে মাসের মাঝামাঝিমহির উদ্দিন, আবু নাসের, আবদুল হালিম, ফজল হক ও সাত্তারসহ নৌকাযোগে আমরা আমিনবাজার হয়ে আসি কেরানিগঞ্জেসেখানে আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান আমাদেরকে একটি চিঠি লিখে দেনকামারের দোকানে রুপার একটা তাবিজ বানিয়ে তার ভেতর রাখি ওই চিঠিতাবিজটি আমার গলায় ছিলসদরঘাট থেকে কুমিল্লা দশআনির মোহরপুর হয়ে আমরা পৌঁছি কুমিল্লা কাইতলায়চিঠি দেখিয়ে ও মাথাপিছু ৬ টাকার বিনিময়ে সেখানে ওদুদ মিয়া নামে এক লোক আমাদের পৌঁছে দেয় ভারতের আগরতলায়



খয়েরপুর দুর্গা চৌধুরীপাড়া ইছামতি বিজনা ক্যাম্পে নাম লেখাই আমরাসেখান থেকে আমাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় আসামের কাছাড় জেলার লায়লাপুর ট্রেনিং ক্যাম্পেসেখানে ছিল তিনটি ক্যাম্পএম উইং, এন উইং ও টি উইংএম (মুজিব) উইং-এ আমি ছিলাম ৬ নং স্কোয়াড আলফা কোম্পানিতেআমাদের ট্রেনিং হয় ২৮ দিন২১ দিন অস্ত্র ও ৭ দিন গেরিলা ট্রেনিংআমার এফএফ নাম্বার ছিল ৯১৯৯৭ট্রেনিং শেষে মেলাঘরে আমাদের শপথ করান কর্ণেল আতাউল গনি ওসমানী’’



কোথায় কোথায় যুদ্ধ করলেন?



মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন বলেন, ‘‘আমরা ছিলাম গেরিলাআক্রমণ করেই সরে পড়তাম২১ জনের দলে আমাদের কমান্ডার ছিলেন মো. হানিফসহকারী কমান্ডার মো. রফিকআমি ছিলাম উত-কমান্ডার (অস্ত্র রাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার)অস্ত্র জমা রাখা হত আমার কাছে২ নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর এ টি এম হায়দারের নির্দেশে আমরা যুদ্ধ করি মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায়সাদুল্লাপুর বাজার, বাটুলিয়া গ্রাম, আরিচা থেকে আমিনবাজার ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা দখল, নতুন বিমানবন্দর এলাকায় ২৮ রাজাকার আটক প্রভৃতি অপারেশনের কথা আজও মনে পড়ে’’



গুলিবিদ্ধ হলেন কোন অপারেশনে?



প্রশ্ন শুনে মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লা আবেগাপ্লুত হনঅতঃপর বলতে থাকেন, ‘‘১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১মিরপুর তখনও স্বাধীন হয়নিআমরা ছিলাম বিরুলিয়ার একটি বাড়িতেত্রিশ-বত্রিশজনরাত তখন ২ টাহঠাৎ খবর আসে বিরুলিয়া ঘাটে পাঞ্জাবি আসারআমরা দ্রুত সেখানে পজিশন নিই



ঘন কুয়াশাকিছুই দেখা যাচ্ছিল নাভোর হতেই দেখলাম নদীর দিকে কুয়াশাভাঙা রাস্তাজেলেরাও বলল, ওই পথেই গেছে ৭ জন পাঞ্জাবিনদীর তে-মোড়ায় (ত্রিমোহনা) গিয়ে আমরা তাদের অ্যাটাক করব, এমনটাই ছিল পরিকল্পনাতুরাগ পার হয়ে আমরা চকের মধ্যে চলে আসিআমাদের নেতৃত্বে সহকারী কমান্ডার রফিকতিনটি দলে আমরা তিনদিকে এগোইআমি পূর্বপার্শ্বেসঙ্গে সাত্তার ও মহিউদ্দিনপাঁচজন গেল পশ্চিম পাশ দিয়েরফিক কমান্ডার চারজনকে নিয়ে এগোয় মাঝ বরাবর



আমরা পাঞ্জাবিদের ১৫০ গজের মধ্যে চলে আসিহঠাৎ পূর্বদিকের বোটানিক্যাল গার্ডেনের শেষ অংশে জন্দী রাডার ক্যাম্প থেকে বৃষ্টির মতো গুলি আসতে থাকেপাকিস্তানি সেনা, রাজাকার ও বিহারিদের শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল সেটিআমাদের লক্ষ্য করে তারা মর্টার নিক্ষেপ করেআমরাও গুলি ছুঁড়িকিন্তু তোপের মুখে টিকতে পারি না



ঘণ্টাদুয়েক চলে গোলাগুলিহঠাৎ পেছন দিকে মাগোবলে পানিতে ছিটকে পড়ে সাত্তারতাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায় মহিউদ্দিনআমি তখনও কাদার মধ্যে লাইন পজিশনেগুলি ছুঁড়ছিক্রলিং করে মহিউদ্দিন সামনে আসেজানায় সাত্তারের মৃত্যুসংবাদটিমাথায় গুলি লেগেছিল তার



আমি মহিউদ্দিনকে পজিশন নিতে বললামহঠাৎ সে চিৎকার দিয়ে বলে, ‘তোর হাঁটুতে রক্তকখন যে গুলি লেগেছে টেরই পাইনিগুলিটি আমার ডানপায়ের হাঁটু দিয়ে ঢুকে উরু দিয়ে বের হয়ে ডানহাতের বাহু ভেদ করে রেরিয়ে যায়দেখলাম, রক্তে ভিজে গেছে গোটা পাহাড়ের হলুদ মজ্জাগুলো বেরোচ্ছিল তখনআমি স্থির হয়ে যাইমনে তখন মৃত্যুভয়অবশ হয়ে যাচ্ছিল ডানহাতডানপাও নাড়াতে পারছিলাম নাশরীর শুধুই ঘামছিলধীরে ধীরে ঝাপসা হয়ে আসে চোখদুটো



নৌকায় করে আমাকে নেওয়া হয় বিরুলিয়ায়নবীউল্লাহ নামে এক গ্রাম্য ডাক্তার কাঁথা সেলাইয়ের সুই দিয়ে আমার পা সেলাই করেআমি তখনও অজ্ঞানজ্ঞান যখন ফিরল তখন ঢাকা মেডিকেলেওই অপারেশনে দুজন পাঞ্জাবি নিহত এবং ৫ জন সারেন্ডার করেছিল’’



যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন
বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমার বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমির হোসেন নিজের মতামতটি তুলে ধরেন অকপটেতিনি বলেন, ‘‘যুদ্ধক্ষেত্রে কেউ সারেন্ডার করলে তাকে ক্ষমা করা হয়সে হিসেবে ছোট ছোট অপরাধে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের বঙ্গবন্ধু সাধারণ ক্ষমা করেছিলেনকিন্তু তিনি ক্ষমা করলেও তারা তো বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমা করেননিতাই আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু ভুল করেছিলেনএই ভুলের মাসুল তাকে দিতে হয়েছে’’


তিনি আরও বলেন, ‘‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন সত্যিকিন্তু স্বাধীন দেশের রাজনীতিতে রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি কোনোদিনও জাতির কাছে ক্ষমা পাবেন নাতার দলের হাত ধরেই এদেশের রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রী হয়েছে রাজাকাররাজাতির জন্য ওটা ছিল কলঙ্কজনক অধ্যায়’’



যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লা বর্তমানে ঢাকা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারমুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘যারা অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছে তারা নিশ্চয়ই কোথাও না কোথাও অস্ত্র জমা দিয়েছেনস্বাধীনের পরেই ওই তালিকা নিয়েই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করা যেতযারা প্রশিক্ষণ নেয়নি কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন তাদের অবদানও কম ছিল নাতাই তালিকা না বাড়িয়ে তাদের আলাদা তালিকা তৈরি করা যেত’’



তিনি মনে করেন মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নয়, বরং স্বাধীনতার পরেই রাজাকারদের তালিকা করা উচিত ছিল



এদেশের সন্তানরা যখন সারা পৃথিবীতে সফল হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়ায় তখন আনন্দে মন ভরে যায় এ বীর মুক্তিযোদ্ধারখারাপ লাগার অনুভূতি জানাতে তিনি বলেন, ‘‘ক্ষমতার জন্য যখন রাজনীতিবিদরা হানাহানিতে লিপ্ত হয়, দেশের বিরুদ্ধে যখন তারা কথা বলে, তাতে দেশেরই ক্ষতি করেতখন খুব খারাপ লাগে’’



কথা ওঠে তরুণ প্রজন্মের জেগে ওঠা নিয়েমুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লা বলেন, ‘‘কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম ঐক্যবদ্ধ হয়েছেএ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে এমনটাই আশা সবারকিন্তু বিচারের রায় যখন অন্যদিকে যাচ্ছিল তখনই জেগে ওঠে তরুণরাযুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে তারা গড়ে তুলে গণজাগরণ মঞ্চবিচার না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চয়ই এ তরুণরা সজাগ থাকবে’’



মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে আশা নিয়ে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লা বলেন, ‘‘তোমরা অন্যায়ের কাছে মাথা নত কর নান্যায়ের পক্ষে আর অন্যায়ের বিপক্ষে থেকতোমরা দেশের প্রতি থেক আস্থাশীলদেশ হল মামায়ের মতোই তাকে ভালোবেস’’



সংক্ষিপ্ত তথ্য



নাম: যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আমির হোসেন মোল্লা
ট্রেনিং নেন: আসামের কাছাড় জেলার লায়লাপুর ট্রেনিং ক্যাম্পেএম (মুজিব) উইং-এ তিনি ছিলেন ৬নং স্কোয়াড আলফা কোম্পানিতে
 
এফএফ নং : ৯১৯৯৭


যুদ্ধ করেছেন: ২ নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডারের অধীনে যুদ্ধ করেন মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায়

যুদ্ধাহত: ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১সকালেবোটানিক্যাল গার্ডেনের শেষ অংশে জন্দী রাডার ক্যাম্প থেকে আসা পাকিস্তানি সেনাদের একটি গুলি তার ডানপায়ের হাঁটু দিয়ে ঢুকে উরু দিয়ে বের হয়ে ডানহাতের বাহু ভেদ করে রেরিয়ে যায়

ছবি: সালেক খোকন
সালেক খোকন: লেখক, গবেষক ও প্রাবন্ধিক


This entry was posted on সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৩ at ৩:২৭ অপরাহ্ণ and is filed under মুক্তিযুদ্ধ.  
You can follow any responses to this entry through the RSS 2.0 feed.

WARNING: Any unauthorised use or reproduction of bdnews24.com content for commercial purposes is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

Saturday, December 28, 2013

দেখুন, কাদের আছে দেশপ্রেম!!



দেখুন, কাদের আছে দেশপ্রেম!!


Published on Dec 19, 2013


হরিণ ছানার বাংলাদেশ -


জানো নাকি মা এখান থেকে বহু দূরে
আছে যে এক মিষ্টি মধুর দেশ,
তুমি কি জানো সেই দেশটার নাম?
সেই দেশটার নাম বাংলাদেশ

তুমি কি আমায় নিয়ে যাবে সেই দেশে?
রোদের সাথে খেলব সারাদিন,
ঘুমিয়ে পড়বো সবুজ নরম ঘাসে,
বৃষ্টি জলে ভিজব ভাবনাহীন

সেখানে আছে যে তোমার দাদা-দাদী, নানা-নানি,
আছে আরও কত আপনজন,
বলবে তারা আদর করে তোমায়,
হরিণ ছানা তোমায় স্বাগতম!

বাংলাদেশের সব মানুষই ভাল,
শুধু আছে অল্প কিছু দুষ্টু লোক!
তাদের হাতে পড়বো না আর বাঁধা,
বাংলাদেশের সবার ভাল হোক।।



-----" হরিণ ছানাকে নিয়ে আমরা বাংলাদেশ ছেড়ে এসেছি আজ প্রায় আড়াই বছর হতে চলল ওকে আমরা সবসময় খুব সুন্দর একটা বাংলাদেশের গল্পই শুনিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও শোনাবোএ গানটা হরিণ ছানার মতো আরও অসংখ্য শিশুদের উৎসর্গ করলাম, যারা দেশ থেকে বহুদূরে বাংলাদেশের জন্য বুকভরা ভালবাসা নিয়ে বেড়ে উঠছে।"

 সংগ্রহ: http://www.youtube.com/watch?v=XFFz0mFSwDE

 হরিণ ছানা ভিডিও নিয়ে এটিএন নিউজের ইয়ং নাইটে আলোচনা-

https://www.youtube.com/watch?v=jKkN_0bHbB4


Thursday, December 26, 2013

বাঙালি জাতির রক্তের গ্রুপ সি পজেটিভ !!



বাঙালি জাতির রক্তের গ্রুপ সি পজেটিভ!!

 
রক্তের গ্রুপ


মানুষের রক্তের গ্রুপ হচ্ছে- A, B, AB এবং O। এর মধ্যে আবার নেগেটিভ-পজেটিভ আছে। কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের রক্তের গ্রুপের সঙ্গে পৃথিবীর আর কোনো দেশের মানুষের রক্তের গ্রুপ মিলবে না। কারণ, বাংলাদেশের মানুষ ভিন্ন ধরনের রক্তের গ্রুপ নিয়ে দিব্যি বেঁচে আছেন এবং সেটা রক্তের গ্রুপ সি পজেটিভ নিয়ে, যা পৃথিবীর আর কোনো মানুষের নেই।

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের রক্তের গ্রুপ কীভাবে সি পজেটিভে হলো, তার একটি মজাদার ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে। এটি আরিফ আর হোসেনের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে সংগ্রহ করা।

তাহলে আসুন জেনে নিই, বাংলাদেশের মানুষের রক্তের গ্রুপ কীভাবে সি পজেটিভ -


- বস, আপনার রক্তের গ্রুপ কী?

- সি- পজিটিভ

- ও আল্লাহ... এটা কুন গ্রুপ?’

- এটা বাংলাদেশি আম জনতার গ্রুপ

... ...

মাত্র ৯ মাসেই স্বাধীন করে ফেলেছি ... কিন্তু, ৪২ বছরেও গোছাতে পারিনি দেশটা

আমাদের সবচেয়ে কমন রক্তের গ্রুপ হলো B-positive; ৪২ বছর থেকে কিন্তু এই বি-পজেটিভঅ্যাটিচিউড নিয়েই আমরা অপেক্ষা করছি দেশটা গোছানোর-

... আগাচ্ছেই না!

স্বাধীনতার ৪৩তম বছরের বিজয়ের মাসে; আজকে বাদে, প্রতি কার্যদিবসেই অবরোধ ছিল।

এখনও আমরা হাল ছাড়িনি... এত কিছুর পরেও, আমরা ভালো কিছু দেখার অপেক্ষায় আছি।

সি পজেটিভ


প্রতিদিনই মনে করছি, এই কালকেই হয়ত সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে

... প্রতিদিনই...

 এখনও দেশের আমজনতা বিরক্ত হয়ে, এক নেত্রীকে আরেক নেত্রীর ওপরে আছাড় মারার কথা চিন্তা করছে না।

এখনও ... এখনও, আমরা অপেক্ষা করছি to SEE something POSITIVE (সি পজেটিভ)

...আমাদের রক্তের গ্রুপ তো আলাদা হবেই...!!           

Be-Positive ছাড়িয়ে ... See-Positive ছাড়া আর কিই-বা হতে পারে?

সৌজন্যে-  https://www.facebook.com/TheVoices

Friday, December 20, 2013

Pak reluctant to apologize for '71 war atrocities


Pak reluctant to apologize for '71 war atrocities

 

DHAKA: Pakistan is reluctant to extend a formal apology to Bangladesh for the atrocities committed by its troops in East Pakistan during the 1971 war.
 
Bangladesh’s demand for an official apology from Pakistan intensified after the Musharraf regime declassified the Hamoodur Rehman Commission Report in 2000.

According to the News, the report had accused the Pakistani Army led by General Yahya Khan of carrying out senseless and wanton killing of intellectuals, soldiers, civilian officers, businessmen and industrialists.

The report accused the Pakistan Army of raping a large number of Bangladeshi women as a deliberate act of revenge.

The commission report had accused Khan of being a womaniser and an alcoholic besides holding General A A K Niazi for a premature surrender by the Pakistan Army.

Set up by the Supreme Court of Pakistan on the request of President Zulfikar Ali Bhutto after the 1971 Indo-Pak war, the commission was headed by the then Chief Justice of Pakistan, Justice Hamoodur Rehman, as its chairman.

On the basis of the evidence produced during inquiry, the commission had named and blamed certain senior commanders for their failure to discharge their professional duties, the report said.

The commission had further recommended that the Pakistan government constitute a high-powered Court of Inquiry to investigate these allegations and to hold trials of those who indulged in these atrocities.

However, no such Court of Inquiry was ever constituted by any government.

Resolutely supporting wrong

(পাকিস্তানিরা যেমন অখণ্ড ভারতের কথা ভাবতে পারে না, তেমনি বাংলাদেশিরাও অখণ্ড পাকিস্তানের কথা ভাবতে পারে না- দ্য নেশন-এর (পাকিস্তানি পত্রিকা) সম্পাদকীয়)

 

 

 

 

 

Editorial

Resolutely supporting wrong


December 19, 2013



It appears that a large segment of the political leadership is facing tremendous difficulty in coming to terms with certain ground realities. Perhaps, all they require is a little assistance and so, it shall be offered: East-Pakistan is no more. In its place, there exists an independent, sovereign state, popularly known as Bangladesh. It is inhabited by Bengalis. 

Not former or future Pakistanis, just Bengalis. Those who find the facts stated above far too obvious and think that there is no need to reiterate the unmistakable, are advised to take a brief look at the NA resolution passed by the lower house of the Parliament against the execution of Jamaat-e-Islami (Bangladesh) leader, Abdul Quader Mollah. Apparently, forty-four years are just not enough for some to recover from a bad break-up.

While speaking on the issue in the National Assembly, Interior Minister, Nisar Ali Khan, claimed that Mr Mollah was hanged for ‘supporting’ Pakistan and remained true to the cause of a united Pakistan till the very last day of life. He further claimed that the nation was deeply saddened by the execution of the veteran JI leader. False, all of it. Of course, it doesn’t help that Bangladeshi PM, Ms Wajid, is not immune to playing politics on the issue either, claiming that there is “no place” in Bangladesh for supporters of Pakistan.

Although Mr Mollah’s charge sheet is quite extensive, ‘supporting’ Pakistan during 1971 isn’t listed as a crime anywhere. It does, however, contain allegations of murder and rape of several men, women and children, and those are precisely the heinous crimes he was tried for, convicted and executed. Being a seasoned politician, Mr Nisar is surely aware that there are far better ways than torturing and killing dissenters to express patriotism and struggling for unity. Secondly, if in Mr Nisar’s infinite wisdom, it is a matter of pride for a Bangladeshi national to seek a ‘united Pakistan’ till his last breath, what opinion does he hold for a Pakistani citizen who seeks a united India? Thirdly, Pakistan has no right poking its nose in the internal matters of another country. 

The ongoing trials in Bangladesh are the fulfillment of the election promise of its PM, Sheikh Hasina Wajid. Let us not forget that a life imprisonment sentence failed to satisfy by the Bangladeshi populace, who took to the streets demanding a death sentence instead. But, even if that was not the case, it is none of Pakistan’s business. Their aggressors, their victims and their decisions. Just because we are not interested in taking our criminals to task, doesn’t necessarily mean that the rest of the world must act with the same callousness.

Bangladesh has already recorded its protest with the Pakistan’s High Commissioner and demanded the resolution be withdrawn. The nation is not in favour of portraying convicted murderers and rapists as heroes of the ‘cause’. Stop embarrassing us.

Security beefed up as Taliban threaten to attack B’desh embassy

  

 

 

 

Security beefed up as Taliban threaten to attack B’desh embassy 

December 19, 2013
 

 

ISLAMABAD - The banned Tehrik-e-Taliban Pakistan (TTP) has threatened to attack Bangladesh Embassy in Islamabad in the wake of the killing of Abdul Qadir Mulla, Jamaat-e-Islami (JI) leader in Bangladesh, it was reliably learnt on Wednesday.

Although security around Bangladesh foreign mission in Pakistan has been enhanced manifold and the fresh security directions have been issued to Ambassador of Bangladesh, yet law enforcement agencies still fear a terrorist attack at BD mission. According to well-placed sources, law enforcement agencies have submitted a report to interior ministry quoting a security agency that Taliban have expressed annoyance with the Bangladesh government over the killing of Abdul Qadir Mulla and could attack the Bangladesh embassy. The unnamed security agency officials had called for preventive measures in the wake of the threats. 

The Bangladesh Embassy is located in the residential area of F-6/3, considered one of the most posh sectors of Islamabad.

A senior official of law enforcement agency while talking to The Nation said they have chalked out an elaborate security plan for security of Bangladesh embassy and security has been enhanced of major embassies in the federal capital. 

“We have also deployed police commandoes at these sensitive places to avoid any untoward incident during Christmas holidays while patrolling has been enhanced around them,” the security official added.

তোপের মুখে পড়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী। বাংলাদেশ ইস্যুটি যখন পাকিস্তানের কাছে খুবই স্পর্শকাতর বিষয়, সেখানে ১৬ ডিসেম্বর (বিজয় দিবস) পাকিস্তানের সংসদে দাঁড়িয়ে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসিতে শোকপ্রস্তাবকে সমর্থন দেন তিনি। এরই জের ধরে বাংলাদেশে পাকিস্তানবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। সে কারণেই নিসার আলী পাকিস্তানি সরকারের রোষানলে পড়েছে। তার ভাগ্য এখন নড়বড়ে। 

পাকিস্তানের দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল আজ শুক্রবার একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। পড়ে দেখুন লেখাটি এবং সেই সঙ্গে বিশ্বকে জানিয়ে দিন আপনার সুউচ্চ প্রতিক্রিয়া- 










Why Nisar is in the line of fire, of opponents and some colleagues


Tariq Butt
Friday, December 20, 2013
From Print Edition


ISLAMABAD: Just seven weeks after an unpleasant wrangle in the Senate, Interior Minister Chaudhry Nisar Ali Khan is again in the line of fire from political rivals.

This is because of his good show on behalf of the government and his straightforwardness and candour while speaking his mind on national issues.Among the few federal ministers, who are delivering, matching the expectations of Prime Minister Nawaz Sharif, Chaudhry Nisar stands out, and this is what is not being stomached not only by some of his cabinet colleagues but also the opposition parties in the National Assembly. At times, he has earned severe flak on one lame pretext or the other for the crimes he has not committed.

What many can’t accept in the heart of their hearts is the lead role that Chaudhry Nisar has been assigned to play in the government as well as the parliament. In the absence of the prime minister, who hardly attends the parliamentary sessions, he is spearheading the government side. He has even started presiding over the meetings of the parliamentary party. A couple of days back he censured some ministers for their poor performance.

Those knowing Chaudhry Nisar since his landing in the parliament way back in 1985 say that he is an upfront, no nonsensical and forthright person, who is not in the habit of keeping his views to himself even if their expressing would exasperate many including even some of his own ruling party associates.

Chaudhry Nisar Ali in the assembly on 16 December
When others occupying senior positions in the government are mostly hiding somewhere, preferring silence on highly sensitive issues, Chaudhry Nisar would not keep quiet, but would vent out his opinion uninhibited. Recently, when there was no official reaction on the execution of Jamaat-e-Islami Bangladesh leader Abdul Quader Molla by Dhaka, he dubbed it as a judicial murder. “Abdul Quader was hanged through a judicial murder for supporting united Pakistan in 1971. He remained patriotic to the pre-1971 Pakistan and his hanging had once again reminded Pakistanis of the wounds of separation of East Pakistan.”

There is a clear-cut contradiction in the instant boycott of the National Assembly proceedings by the Pakistan Peoples Party (PPP) and Pakistan Tehreek-e-Insaf (PTI). The two parties are always at each other’s throats on all major and minor issues. But now they have joined hands in their bid to embarrass the interior minister.

When Chaudhry Nisar mentioned the term “tamasha” (circus or drama), triggering the present storm in the teacup, he in fact referred to PTI’s clamour seeking verification of voters’ thumb impressions in certain constituencies, which in no way covered or was related to the PPP, but it still jumped in the fray because it did not want to lose another opportunity to put the minister on mat.

Their demand is the same – apology from Chaudhry Nisar – what the opposition parties in the Senate had made. But the minister had contemptuously snubbed it, arguing that he was not at fault and a bunch of senators had fueled the controversy at somebody else’s behest.

Most of the federal ministers including even those who are faring better than others in the opinion of their boss mostly stay away from locking horns with the opposition by not speaking anything that the opposition parties disapprove. But Chaudhry Nisar is not that kind of person. He is always frank not only in and out of the parliament and also in the internal high level meetings chaired by the prime minister. Those who want him to change his temperament, character and nature are sadly mistaken.

Early last month, the opposition parties in the Senate led by the PPP (PTI has no present in this chamber) had generated a serious controversy against the interior minister after Senators Raza Rabbani, Aitzaz Ahsan and Zahid Khan had a verbal duel with him. They worked hard for his leg pulling, and held the “sessions” of the Senate outside the debating hall for one week, which was not less than a joke, meant to undermine the parliament.

The protesters finally wrapped up their agitation when Minister Ishaq Dar and Pervaiz Rasheed approached them and held out assurances that Chaudhry Nisar had already extended to them more than once inside the House.

“After having failed in their efforts to malign me and in the process wasting huge public money to be pocketed by them as travelling and daily allowances without attending the Senate, a group of senators then blatantly decided to end their boycott on the same assurance that I had already given in the Senate.