Oh! NO!! NO!!!
- আশিস বিশ্বাস
ভাবতে ভীষণ লজ্জা লাগে ওই পেট্রোল বোমা ছোড়া অমানুষগুলো এ দেশেরই সন্তান। এ লজ্জা আমরা রাখবো কোথায়!!
Symbolic Photo |
- কিন্তু...!
- কিন্তু কী?
- কিন্তু কী?
-সেই জনগণের প্রতি যখন এই নেতানেত্রীদের নির্দেশে, উস্কানিতে গাড়িতে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারা হয়, কে পোড়ে?
- সাধারণ মানুষ।
- তারা কোনো না কোনো দলের কর্মী, সমর্থক কিংবা শুভাকাঙ্ক্ষী!
-হ্যাঁ, তারা তো এদেশের নাগরিক। রাজনৈতিক দলকেই ভোট দেয়। আর জনগণের দোহাই দিয়েই ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ‘গণতন্ত্র’ ও ‘জনগণ’-এর খেলা খেলেন। তাদের সামনে রেখেই যতসব বুলি আওড়ান এই সব নেতানেত্রীরা।
- আমরা জানি, একজন বাসযাত্রী বা পথচারী পেট্রোল বোমায় ঝলসে গেলে এই নেতানেত্রীরা তাদের কর্মী-সমর্থকদের থামিয়ে দেন না। নির্দেশ দেন না।
তাদের মুরোদ নেই মানুষকে রাজপথে নামানোর! শুধু তাই নয়, দলীয় নেতাকর্মীদেরও রাস্তায় নামানোর ক্ষমতা রাখেন না। শুধু গরিব ছেলেপুলেদের হাতে টাকা গুঁজে দিয়ে বোমা ছুড়ে মারা হয়, গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। মানুষের কী হলো, তার কি ধার ধারেন তারা? নাহ! তারা একে অপরকে দোষারোপ করেন।
আমরা জানি, হরতাল ডাকলে কারা গাড়ি পোড়ান, পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারেন। রাজনীতিবিদরাও জানেন। তবে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করতে চান না, দায়ভারও কাঁধে নেন না। তারা জনগণকে ‘চুতিয়া’ (উত্তরবঙ্গের কথ্য ভাষা) মনে করেন। তাদের যা বলা হবে, তারা তাই-ই বিশ্বাস করবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের নেতানেত্রীরা!
২.
পুড়ে মরে বাংলাদেশ
সাধারণ মানুষের মুখ, শরীর আগুনে ঝলসে গেলে, আগুনে পুড়ে মারা গেলে তার ঝাঁজ নেতানেত্রীদের শরীরে মুখে লাগার কথা। কিন্তু তারা নির্দেশ দেন, কিন্তু আগুনে পোড়েন না। ছবির মতো দু্ই নেতার মুখ আগুনে পুড়লে কী হতো? তখন ঠিকই দেশে আগুন জ্বলতো। কিন্তু ঝলসে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ, তারা তো নেতানেত্রী নন! তাই, তাদের জন্য কেউ রাজপথে নামেন না!!
৩.
দেশের মানুষের মুখ আগুনে ঝলসে যাওয়া মানে খালেদা-হাসিনার মুখ ঝলসে যাওয়া। সাধারণ মানুষ পেট্রোল বোমায় পুড়ে মারা গেলে খালেদা-হাসিনারই পুড়ে মারা যাওয়ার কথা। কারণ, তারা দুজন মিলেই সমগ্র বাংলাদেশ!
ছবিতে খালেদা-হাসিনার মুখ পেট্রোল বোমায় পুড়ে ঝলসে গেছে। ছবি দুটি কাল্পনিক। তাদের কোনো ক্ষতি হোক, সে কথা কেউ-ই চিন্তা করতে পারেন না। তারপরও বীভৎস ছবি দুটি আঁকা হয়েছে। কারণ, হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গেলে এই রকম মুখেরই দেখা মিলবে। সেখানে মুখটা শুধু খালেদা-হাসিনার নয়, সখিনা বা কলিমুদ্দিনের। এ রকম বীভৎস ছবি চোখ মেলে দেখা যায় না- বললেন ছবির শিল্পী ‘শিরোনামহীন’ (Untitled)।
তিনি জানালেন, ‘সত্যিকার অর্থে খালেদা-হাসিনা নয়, পুড়ছে বাংলাদেশ মনে করে প্রতীকীভাবে খালেদা-হাসিনার মুখ বসানো হয়েছে। কারণ, তারাই মূলত বাংলাদেশ শাসন করেন। তারাই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।’
৪.
এই ঝলসে যাওয়া মুখ আমরা দেখতে চাই না। তারপরও আপনাকে আমাকে দেখতে হবে। এ রকম মুখ দেখার পরই যদি আমাদের মধ্যে বোধ জাগে, জাগে প্রতিবাদ-প্রতিরোধের ইচ্ছা! রাজপথ রাজনৈতিক দলের দখলে না দিয়ে আপনাকে-আমাকেই দখলে নিতে হবে। রাজনীতিবিদরা আমাদের ভালো চায় না। সে কারণে আমরাও আর ওদের ক্ষমা করতে পারি না!
৫.
নিজের ভেতরে কত ক্ষতবিক্ষত হলে এই বীভৎস ছবি আঁকতে পারেন একজন শিল্পী! একজন মানুষ কতটা শিউরে উঠলে এই রকম ছবি কল্পনা করতে পারেন! এটা কাল্পনিক ছবি। প্রতীকী ছবি! তবে শিল্পী এই মুখ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দেখে এসেছেন। শুধু মুখটা আলাদা!
দেশে আজ দুই নেতার কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি। তারা মানুষকে জিম্মি করে নিজেদের অসৎ খেলায় মেতে উঠেছেন! আর এতে ‘আগুনে ঘি ঢালছে’ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হায়েনার দল জামাত-শিবির।
পবিত্র ইসলামের নামে অধর্মের কাজ করে এরা। পুরোপুরি সুবিধাবাদী দল। মুখে বলবে রাজতন্ত্র খারাপ, ইসলাম বিরোধী। আর তলে তলে তাদেরই (সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ) অর্থে স্বাধীন দেশে ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে।
৭৫-এর পর বিএনপির ঘাড়ে সাওয়ার হয়ে নিজেদের তাজামোটাকরণ করেছে জামাত-শিবির। সামরিক শাসক ও বিএনপির কাঁধে বন্দুক রেখে প্রতিরক্ষা বাহিনী, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, শিক্ষা, সমাজকল্যাণ বিভাগসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাঠামোতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে বাংলাদেশ বিরোধী এই জামাত-শিবির। তারা বাংলাদেশ চায়নি। স্বাধীনতার পর তাদের কৃতকর্মের জন্য ভুল স্বীকার বা ক্ষমাও চায়নি এই হায়েনারা। তারা তো একাত্তরের মতো হিংস্র হবেই। এটাই তাদের চরিত্র। কিন্তু, আমরা তাদের সে সুযোগ কেন দেবো বা দিচ্ছি?
বর্তমানে দেশে যে সংকট চলছে, তা কৃত্রিম ও রাজনৈতিক। হীন স্বার্থে সৃষ্টি করা হয়েছে। আন্দোলন করতে হলে জনগণকে মাঠে নামাতে হয়। কিন্তু বাসে আগুন দিয়ে, মানুষ পুড়িয়ে, রেললাইন উপড়ে ফেলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়, আন্দোলন হয়না বা এটা দেশপ্রেমও না।
গণঅভ্যূত্থান করতে হলে সাধারণ মানুষকে রাস্তায় নামাতে হবে। মিছিলে শুধু মানুষ আর মানুষ থাকবে। থাকবে দলীয় কর্মী-সমর্থক। থাকবে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। ছাত্র, কর্মজীবী নারী-পুরুষ, শিশু সবাই।
কিন্তু একি দেখছি আমরা!
আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড! নিজেদের দলের লোকই রাস্তায় নামে না, তো সাধারণ মানুষ আসবে কোত্থেকে! আন্দোলনের ইস্যু হতে হয় জনগণের চাহিদা থেকে। কিন্তু এখন চলছে ক্ষমতাকেন্দ্রিক। সেই জন্য সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিশ্বাস করে না। কারণ, তারা (রাজনৈতিক দল) গণতন্ত্রের নামে, জনগণের নামে যা করেছে ক্ষমতায় থেকে, তা সাধারণ মানুষ জানে। জানে বলেই তাদের আর বিশ্বাস করে না। আস্থাও রাখে না। সে কারণে রাজপথে সাধারণ মানুষকে পায় না। পায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার জন্য কিছু ভাড়াটে লোক।
এখন দরকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ। রাজনীতিকে বিরাজনীতিকরণ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। রাজনীতিকে রাজনীতির ধারায় আনতে হবে। সে জন্য একজন শিল্পীকে ছবি এঁকে, সাংবাদিককে কলম ধরে প্রতিবাদ করতে হবে। বুদ্ধিজীবীকে সমস্যা উত্তরণের পথ বাৎলে দিয়ে নিজেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদে ও প্রতিরোধে সরব হতে হবে। নইলে আপনি বা আমি রাস্তায় নামলে পেট্রোল বোমায় আপনার বা আমার মুখ ঝলসে যেতে পারে। যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে অসহায়ভাবে প্রাণটাও ত্যাগ করা লাগতে পারে!
একজন মানুষ তানিয়া আফরোজের আহ্বান, একজন শিল্পী শিরোনামহীনের প্রতিবাদ-
“মানুষের মনুষত্ববোধ কি হারিয়ে গেছে? কোথায় আমার সব বন্ধুরা? একটা রাস্তার কুকুরের ছবি পোষ্ট দিলেও এর চেয়ে বেশী সাড়া পাওয়া যায়। দলের পরিচয়ের বাহিরে কি মানুষ পরিচয় নাই আপনার? প্লিজ! প্লিজ! শেয়ার করুন শিরনামহীনের লেখা ও দুই নেত্রীর ইলাস্ট্রেশনটি, যদি সম্ভব হয় অন্তত একবার উনাদের দুইজনকে দেখার সুযোগ করেদিন এই ছবিটা। তারপরও যদি তারা বুঝতে পারেন মানুষের প্রতি কি অমানবিক আচরন করছেন তারা। যে সকল বন্ধু ইতিমধ্যে লাইক দিয়েছেন, সহমত পোষন করেছেন, শেয়ার করেছেন এবং কমেন্টের মাধ্যমে আপনাদের মনের ভাব প্রকাশ করেছেন তাদের প্রতি রইল আমার নিরব বিপ্লবী সালাম।''
Click the link to see the illustration-
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=693851590634499&set=a.616121511740841.1073741843.100000289947674&type=1&relevant_count=1
''শিল্পীর দৃষ্টিতে অঙ্কিত এই ছবি গুলো নিশ্চই আপনাদের (আমাদের দুইটি প্রধান দলের নেত্রী এবং তাদের কর্মী সমর্থক বৃন্দ) একটু হলেও খারাপ লাগবে। কিন্তু ভাবুনতো তাদের রাজনৈতীক উচ্চাকঙ্খার আগুনে যারা সত্যি সত্যি এর চেয়েও ভয়াবহ ভাবে অগ্নীদগ্ধ হয়ে অসহায়ের মত প্রতিনিয়ত দিন গুনছে মৃত্যুর তাদের এবং তাদের পরিবারের মানুষ গুলোর মনের অবস্থা কেমন? জানি এটা শুধু দূর থেকে চিন্তা করে কিংবা টেলিভিশনের খবর দেখে মোটেও আমরা অনুভব করতে পারবনা। আমি জানিনা কার নির্দেশে এবং কে বা কারা এই নির্মম কাজগুলো করছে, আপনি বা আপনারা যারা এই ঘৃন্য কাজের সাথে জড়িত তারা যদি এই দুই নেত্রীর কাল্পনিক ছবি দূটি দেখে থাকেন তবে অনুরোধ একবার আগুনে পোড়া মানুষ গুলোর কথা ভাববেন, আমার বিশ্বাস যদি আপনি বা আপনারা মানুষের জন্ম হয়ে থাকেন তবে একটু হলেও আপনার বুক কাঁপবে, চোখের কোনে এক ফোঁটা জল আসবেই। এমন দৃশ্য দেখে অধম পশুরাও কেঁদে উঠবে আর আপনারাতো মানুষের আদলে দু’পেয়ে জানোয়ার তাহলে আপনি কেন বুঝবেননা? শেষে একটা কথা বলতে চাই, যে হাত দিয়ে আপনি ছুড়ে মেরেছেন ঐ ভয়ঙ্কর বোমা আর নিজের বিশাল সাফল্যে বাহবা আর কিছু অনৈতিক অর্থ পেয়েছেন সেই হাত আপনাকে ক্ষমা করবেনা কোনদিন। যতদিন বেঁচে থাকবেন আগুনে পোড়া ঐ সব নিতান্তই নিরীহ নিরপরাধ মানুষগুলোর অভিশাপ আপনাকে তাড়া করে বেড়াবে জীবনভর, আমি নিশ্চিত আপনার ঘুমের মধ্যে ঐসব মানুষ গুলোর বীভৎস চেহারা, আর্ত চিৎকার ছায়ার মত দুঃসপ্ন হয়ে দেখা দিবে। তাই এখন ও সময় আছে নিজেকে শুধরে নিন, আর দয়া করে এতটা নির্দয় আচরন থেকে বিরত থাকুন। যদি কথা দেন আর একটা মানুষের জীবন নিয়েও খেলবেন না এমন বীভৎস খেলা, তবে শুধু অনুরোধ নয় প্রয়োজনে সাধারন মানুষের জীবন বাঁচাতে আপনাদের পায়ে ধরতেও আমি রাজি আছি।
_________________________________________লেখা ও ইলাস্ট্রেশন-শিরোনামহীন''
''The Illustration bellow is an imaginary image done by the artist resemblance of the sufferings of those victims who have been burned by the petrol bomb thrown by a political miscreant at Shahbag on 28the November 20013 and still suffering and leaving in an inhuman and unexplainable torture. 19 people including one school boy were burnt in that planned incident and two of them already died. I know after seeing this image of tow of our leading heads of two political parties (Sorry for not mentioning them as leaders, cause they have lost the quality to be called as leaders) and their activists may have feel a little wired and sorry for them, but I would rather request you to feel the pains of the sufferers who are counting death and fighting for another new life every moment with extreme and hell lot of pain in their body and mind along with their speechless families. What was their fault? Only god knows well why he has punished them the fire of the hell on earth before the final Day of Judgment.
A child named Monir coming with father to see Dhaka. But a patrol bomb burnt to death him |
I would like to appeal to those who are engaged in such horrifying inhuman act that please just once try to feel the pain of those innocent people and their families sufferings if you are seeing and reading this article that what you have done to them. Does this give you pleasure or peace of mind? You may have received some false appreciation and illegal money from the culprit of this terrorizing master plan. Remember the sufferers may not do any direct harm to you but the hands you have used to do such violent deed they will never forgive you. I strongly believe that the way you leaded those innocents burned into ashes you will also be burned even more than those everyday inside your heart and mind and will carry nature’s curses for life long.
My earnest request to you all the inhuman beasts please is back off from doing such cowardly activities and harming innocent people, this is simply unbearable. If you are of human born then I would declaring my intention that if you would promise to stop this violence then I would touch your foot for the sake of saving general public and the country.
Untitled (শিরোনামহীন)''
Source: https://www.facebook.com/tania.afroz.946?fref=ts&ref=br_tf
No comments:
Post a Comment