‘সম্মানিত’ গ্রাহকদের চরম প্রতারিত করলো বাংলালিংক
-আশিস বিশ্বাস
Gulshan-2 Circle |
বাংলালিংক তার গ্রাহকদের সঙ্গে চরম প্রতারণা করেছে। বড় ধরনের একটা ‘পাট’ (ভূমিকা/Role) নিয়েছে। ‘সম্মানিত’ ‘প্লাটিনাম’ ‘গোল্ড’, ‘সিলভার’ গ্রাহকদের অল্পদামে
একটি এন্ড্রয়েড ফোন দিতে চেয়েছিল। এ জন্য তারা সংবাদমাধ্যমে
বিজ্ঞাপনও দেয়।
কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল উল্টো। শনিবার দুপুরে গুলশান-২ নম্বর সেকশনের সেলস অ্যান্ড কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে দেখা
গেল ৫০ থেকে ৬০ জন গ্রাহক ফোনসেট কিনতে গেছেন। অথচ পুলিশ তাদের ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। গেটের কাছে বাংলালিংক কর্মকর্তারা গ্রাহকদের ঠেলে বের করে দিচ্ছেন। এই সময় তারা অফিসও বন্ধ করে দেয়।
পরে পুলিশ তাদের সেখান থেকে সবাইকে সরে যেতে বললো। না, গেলে পুলিশ তাদের কাজ করবে। একজন সাব-ইন্সপেক্টর বার বার চিৎকার করে বলতে থাকেন, আপনারা সবাই যে যার
কাজে চলে যান। এখানে ভিড় করবেন না। পুলিশকে যেন পুলিশের কাজ (তারমানে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল, আটক...আরো কী জানি!) করতে না হয়।
তারপর বাধ্য হয়ে সবাই কাস্টমার কেয়ারের সামনে থেকে চলে যান। এই সময় অফিসের এক কর্মচারী জানালেন, ১০ কার্টন ফোনসেট আনা
হলো, তা গেল কই?
ZTE V807 |
এরপর রোববার সকাল ১১টায় গুলশান-১ নম্বর সেকশনের মূল অফিসে (টাইগার
প্লাজা) গেলে দেখা গেল, অনেক নিরাপত্তা কর্মী ওয়াকিটকি হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কাউকে কাউকে তারা জিজ্ঞাসা করলেন, কেন, কী জন্য এখানে এসেছেন। এ সময় ২০/২২ বছর বয়সী এক তরুণ সোফায় এসে বসামাত্রই এক নিরাপত্তা
কর্মী তার কাছে জানতে চাইলেন, তিনি কেন এসেছেন? অথচ এর আগে-পরে অন্য কাউকে কিছুই জিজ্ঞাসা করতে দেখা গেল না।
এদিকে, শনিবার কেউই কোনো ফোনসেট পাননি। তারপর রোববার সকালেই বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ এসএমএস করে জানালো- তাদের প্রমোশনাল অফার
শেষ। সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ। বাংলালিংকের সঙ্গেই থাকুন।
এর কিছুক্ষণ পরই ২৫/৩০ তরুণ টাইগার প্লাজার সামনে এসে জড়ো হলেন। বোঝা গেল, তারা অফারের জন্য এসেছেন। কিন্তু তারা যে আর ফোনসেট পাবেন না, ততক্ষণে আমরা নিশ্চিত হয়ে গেছি, বাংলালিংকের এসএমএস
দেখে।
এবার বলি, বাংলালিংকের কথিত ‘সম্মানিত’-দের আমিও একজন এবং তাদের মানদণ্ড অনুযায়ী আমি সব্বোর্চ ‘সম্মানিত’ গ্রাহক। তারমানে আমি ‘প্লাটিনাম’ ভুক্ত।
জানিয়ে রাখি, বাংলালিংক আমাদের (বাংলানিউজ) এসএমএসের গ্রাহক-অংশীদার। সেই সঙ্গে আমরা তাদের ‘ব্রেকিং নিউজ’ সার্ভিস প্রোভাইডারও। আমাদেরও এ বিষয়ে কৌতূহল তৈরি হলো। তখন অফিসিয়ালি ফোনসেট
যোগাড় করার চেষ্টা করা হলো। বলা হলো, রোববার দেবে। রোববার বললো, ফোনসেট নেই। উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ
করে ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবেন।
এবার আমরা নিশ্চিত হলাম, বাংলালিংক তার গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আসলে তারা ‘পাট’ নিয়েছে, নিজেদের প্রচারের কৌশল হিসেবে। গ্রাহকদের সঙ্গে বাংলালিংকের এ ধরনের প্রতারণা ক্ষুব্ধ করেছে এর গ্রাহকদের। ফোনসেট দিতে চেয়ে দেয়নি এই টেলিকম অপারেটর। অনেক গ্রাহক অভিযোগও করেছেন।
তবে গুঞ্জন শোনা গেছে, বাংলালিংকের কর্মচারীরা এই ফোনসেটগুলো বিক্রি দেখিয়ে কালোবাজারি
করবে।
তাহলে কি রাজনীতিবিদদের মতো জনগণের নাম ভাঙিয়ে টেলিকম অপারেটররাও
প্রতারণা করে!!! (?) তারাও প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে না!!! তবে গ্রাহকরা
কিন্তু সহনশীল ছিলেন। পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারেনি, গাড়ি ভাঙেনি। তবে ভবনে ঢিল ছুড়লে, গাড়ি ভাঙলে ফোনসেট পাওয়া যেতো!!! জানতে ইচ্ছে করছে, বাংলালিংক কর্তৃপক্ষের
কাছে...!!
আরো পড়ুন:
2 comments:
Could you please get me the correct number
contactsarvic@gmail.com
Post a Comment