Tuesday, March 25, 2014

নির্বাচন কমিশন দৌড়ে প্রথম মন্ত্রিসভা...!!

নির্বাচন কমিশন দৌড়ে প্রথম মন্ত্রিসভা...!!

- আশিস বিশ্বাস
কার্টুন- ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

মাদের নির্বাচন কমিশন (ইসি) আওয়ামী লীগ নেতা আমুর হোসেন আমুর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে!

২২ মার্চ অনুষ্ঠিত 'চতুর্থ পর্যায়ের ভোটের আগে নিজের নির্বাচনী এলাকা ঝালকাঠীর রাজাপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মনিরুজ্জামানকে এক অনুষ্ঠানে পরিচয় করিয়ে দেয়ায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর নামে এই নালিশ করে ইসি।' তাও আবার ২৪ মার্চে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকের মাধ্যমে।


এ বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের যুগ্মসচিব জেসমিন টুলী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'শিল্পমন্ত্রীর আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে তা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে।'

ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক
নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে মন্ত্রীকে সতর্ক করে কোনো চিঠি দেয়নি ইসি। কেন দেয়া হয়নি এর উত্তরে জেসমিন  টুলী বলেন, 'এই  বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সচিবই (ইসির) ভালো জানেন।'

এটা কেমনতরো কথা! ইসি প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ দেবে কেন?

প্রধানমন্ত্রী কি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের প্রধান, যে তার কাছে নালিশ দিতে হবে? বরং প্রধানমন্ত্রী যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন,তাহলে তাকেও তো আচরণবিধি লঙ্ঘনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ইসির। এ কেমন কথা ইসির...!!

এতদিন ভাবতাম নির্বাচন কমিশনের মেরুদণ্ড ভাঙা। এখন তো দেখছি,   মেরুদণ্ডই নেই...। দায়িত্ব পালন না করতে পারলে ছেড়ে দাও। তা না যেন, ছোটভাই বড়ভাইয়ের বিরুদ্ধে নালিশ দিচ্ছে বাবার কাছে...একটি সাংবিধানিক সংস্থার (নির্বাচন কমিশন) একি দশা...এই নির্বাচন কমিশনার দিয়ে দলীয় কাজ চালানো গেলেও দেশের জন্য অমঙ্গল।

এই নির্বাচন কমিশনাররা কি ভারতের একসময়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার টি.এন. শেষণের নাম শুনেছে? মনে হয় না। কারণ, তার সময়ে ৯০ দশকের মধ্য সময়ে ভারতের নির্বাচনে সরকারি দল কী বিরোধীদল টি.এন. শেষণের নাম শুনলেই ভয়ে হাঁটু কাঁপতো। কারণ, কোনো দল আচরণবিধি সামান্যতম ভঙ্গ করছে কিনা, তা দেখার জন্য নির্বাচন কমিশনের লোক টিকটিকির মতো পিছু নিতো। সামান্য ত্রুটি পেলেই ঘায়েল করেছে যে কোনো দলের প্রার্থীকেই। শেষমেশ, সরকারি দল ও বিরোধী দল উপায় খুঁজতে থাকলো কী করে শেষণকে সরানো যায়!! কিন্তু পারেনি। কারণ, পদটি সাংবিধানিক। চাইলেই সরানো যায় না।


ওই সময়ের একটা ঘটনা। নির্বাচনের আগে একজন ডিএম (ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রট) অাচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে বিধায় খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জনসভা পণ্ড করে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী সে জনসভা আর করতেই পারেননি। তাই বলে ওই ডিএমকে প্রধানমন্ত্রী কিছুই বলতে পারেননি। কারণ, তিনি ফেডারেল সরকারের কর্মচারী ছিলেন।

আর আমাদের দেশে? সব কিছু আল্লাহর ওপর ছেড়ে দেয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক। নিজেদের কিছুই করার নেই তাদের। তাহলে আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়ে পদত্যাগ করা উচিত এদের। মৃত্যু, কেন্দ্র দখল, গুলি, নির্বিকার প্রশাসন এ সবই দেখতে হয়েছে আমাদের নির্বাচন কমিশনের বদৌলতে। সবই যদি আল্লাহ করে দেবে, তাহলে তোরা পদত্যাগ কর। দোষ দেওয়ার সময় আল্লাহর কথা বলে। আর প্রশংসার সময় ইসি...এই হচ্ছে মেরুদণ্ডহীন, বেশরম ও দায়িত্বহীন ইসি আমাদের...!!

না পারলে ক্ষমতা ছাড়...ছেড়ে দিয়ে অন্তত নিজেদের সম্মান বাঁচা...তা না, ধরে জনগণ তুলোধুনো করে বিদায় জানাবে যখন, তখন হয়ত সেই প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর মতোই এরাই আবার হয়ত বলবে- 'আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছে,আমাদের কিছু করার ছিল না।'



রাজনৈতিক কৌতুকের দেশ বাংলাদেশ...ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতার পাশে থাকা ওই গোষ্ঠীর রাজনৈতিক কৌতুক এরশাদ মামুর মতো হাসির খোরাক জোগায়। আবার সেই ভবিষ্যত বাংলাদেশ সম্পর্কে ভাবতে আশঙ্কা ভর করায়।

হায় মুক্তিযুদ্ধ...! হায় বঙ্গবন্ধু...! হায় সোনার বাংলা...! হায় গণতন্ত্র...!! হায় সংবিধান...হায়...!!!

Friday, March 14, 2014

রাহনুমা সারাহ্‌ এক অজানা গন্তব্যের পথিক!








রাহনুমা সারাহ্‌ এক অজানা গন্তব্যের পথিক!


রাহনুমা সারাহ্‌। একজন মানবহিতৈষী মানুষ। নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ান; পুঁজিবাদী সমাজে যা আশাই করা যায় না।

কার কার রক্ত লাগবে, কোথায় মুমূর্ষ রোগী হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন, তার খোঁজ রাহনুমা সারাহ্‌র কাছে পাওয়া যায়। তার মানবিকবোধ অত্যন্ত তীব্র। বলা হয়, যিনি যত বেশি সেনসেটিভ (Sensitive), তার মনে তত বেশি কষ্ট। রাহনুমা সারাহ্‌ তাদেরই একজন। এই ঢাকা শহরে একই ফ্লোরে অন্য ইউনিটে কে থাকেন, কী করেন, তাই-ই যখন জানা হয় না, তখন সারাহ্‌ দেশ চষে বেড়ান অসহায় মানুষদের খুঁজতে। কখনো একা, কখনো দল বেঁধে। তবে একান্তই নিজের মতো করে। কোনো প্রচারের উদ্দেশ্যে নয়, একান্তই মনের তাগিদে।

তিনি একজন শিল্পীও। শিল্পীর মনের একান্তে অনেক কষ্ট, না পাওয়ার বেদনা থাকে। তা আমরা কখনো কেঁদে, কখনো বিষণ্ন থেকে, কখনোবা মানুষ থেকে দূরে চলে গিয়ে লুকিয়ে রাখি। কিন্তু মনে বাজতে থাকে বেহালার করুণ সুর। রাহনুমা সারাহ্‌ সতি্যই মনে মনে অনুভব করেন বেহালার করুণ সুর। সে কারণেই হয়ত তিনি বেহালা বাজান। একান্তই নিজের জন্য।

মনের ভেতর জমে থাকা কষ্ট, যন্ত্রণা, ইচ্ছেগুলো তার ফুটে উঠেছে, তার লেখা ছোট গল্পে। নিজের কথাগুলো সামাজিক গণমাধ্যমে তুলে ধরেছেন কখনোবা মনে ধারণ করেছেন। তিনি ব্লগও লেখেন। 


 তার অনুভূতির কথা গল্প আকারে লিখেছেন অথচ খুবই অল্প কথায়। এত অল্প কথায় মনের নিংড়ানো কথাগুলো, অনুভূতি, ইচ্ছে কত সহজে তুলে ধরা যায়, কিন্তু এত প্রাঞ্জল আর বাঙময় করে, তা রাহনুমা সারাহ্‌র লেখাগুলো পড়লে যে কেউই অনুভব করতে পারবেন। গল্পগুলো পড়তে পড়তে মনে হবে, আমিই বুঝি সেই চরিত্র। আর তখনই ভালোলাগা, মনের উদাসীনতা ভর করবে মনে। তার ছোট্ট তিনটি গল্প আমি আমার বন্ধুদের উদ্দেশে নিবেদন করছি-

ধন্যবাদান্তে-
আশিস বিশ্বাস



১.

- হাতটা ধরে হাঁটবি!
- কেন? তুই কি চোখে দেখছিস না কিছু?
- চোখে না দেখতে পেলেই বুঝি হাত ধরে হাঁটতে হয়!
- না মানে... আমি জানতাম না তুই অন্ধ!! আহারে বেচারি!!

- মানে কী?

- সামনে কোন বোর্ড এক্সাম থাকলে প্রতিবন্ধী কোটার ঘরটা দয়া করে পূরণ করিস!!

- তোর সমস্যা কী? তুই কি জীবনে কখনোই সিরিয়াস হতে পারিস না! নাকি অযথাই অবহেলা করিস!! আমার তোর হাত ধরে হাঁটতে ইচ্ছে হচ্ছিল ব্যাস... এই তো!!

- আচ্ছা বাবা ঠিক আছে... হাতটা দে...
- নাহ্‌
- দে না... ঠিক আছে... এই দ্যাখ কান ধরেছি...
- নাহ্‌
 
- কী করবো? উঠবস করবো? তাহলে তো লোকে ভাববে এখানে ইতিহাসের ক্লাস চলছে... আর চারদিকে ভিড় জমে যাবে!!
 
- তোর সাথে আমার ইতিহাস নেই কোনো...
- তাহলে কেমিস্ট্রি??
- প্রশ্নই ওঠে না...
- নিশ্চয়ই তুই বলবি না সাহিত্য!! সাহিত্যের কথা ভাবলেই আমার ঘুম পেয়ে যায়!! ঘরররর!!

- আমি গেলাম...
- কতদূর?
- কতদূর মানে!
- মানে... আমি বলছিলাম যে, এ দিকটা তো তুই ঠিকভাবে চিনিস না... তাহলে কতদূর যেতে পারবি?

- যতদূর যাওয়া যায়... তোর কী তাতে! হারালে আমি হারাবো, তোর তো কিছু যায় আসে না...

- সত্যিই হারাতে চাস??
- হুম...
- তুই কি জানিস, তোর হাত ধরি আর না ধরি, তুই আমার কাছ থেকে কখনোই হারাতে পারবি না!!
- কচু!!

- প্রমাণ চাস?
- দে...

- তাহলে হাতটা ছেড়ে যা দেখি একবার...!!

- ওমা!! তুই আমার হাত ধরেছিস কখন?

- অনেকক্ষণই তো হলো... টের পাস নি?

- না তো!!!

- জিজ্ঞাসা করবার প্রয়োজন মনে করিনি... কারণ আমি জানি, এ দুটো হাত কেবলই আমার...

অতঃপর...

হাতে হাত রেখেই কাটিয়ে দেয়া অনেকটা সময়... শুধু দুজনে...

০৯ মার্চ ২০১৪



২.

-জানিস, মাঝে মাঝে দূরে কোথাও চলে যেতে ইচ্ছে হয়!!
: কোথায়?
- জানি না... হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে...

: কোথায়?

- আরে বুদ্ধু!! কোথায় হারাবো, তা জানা থাকলে হারাবো কীভাবে?

: ওহ আচ্ছা...!! তাহলে তোকে আমার পকেটে রেখে দিই কি বলিস? পকেটে রাখলে অন্ততপক্ষে পকেট মারিং হবার একটা চান্স থাকে। তাতে একটা সুবিধাও আছে। তোর তাহলে হারাবার বিষয়টা নিয়ে খুব একটা ভাবা লাগবে না। আর তা ছাড়া আমার পকেট সম্পর্কে তো তুই জানিসই... প্রায়ই মারিং হয়। সো, তোর হারিয়ে যাওয়া কনফার্ম...

- তোর মাথা আমার মুণ্ডু... তোকে বলাটাই আমার ভুল হয়েছে। কোনোদিনই তুই একটু সিরিয়াস হতে পারিস না! থাক, আমি আর কিছুই বলবো না তোকে...

: আরে! রাগ করছিস কেন! আমি তো একটু দুষ্টুমিই করছি!! এভাবে ক্ষেপে গেলে চলে!!

- নাহ্‌... খেপবো না... আনন্দে নাচবো!!

: আচ্ছা ঠিক আছে। তোর হারাবার ব্যবস্থা আমি করছি। 
- থাক... লাগবে না...

: তোকে কিডন্যাপ করাই কী বলিস!
- ধ্যাৎ!!

: তাহলে তুলে আনি...!!
- তুই চোখের সামনে থেকে দূর হ তো...

: আচ্ছা! এক কাজ করি... দুজন বাসা থেকে পারমিশন নিয়ে পালিয়ে যাই কী বলিস? 
- অন্য কাউকে নিয়ে পালা... আমি নেই!!

: ভালোবাসিস?
- হু 

 
: এতেই চলবে...
- কীভাবে??
: এটা হচ্ছে তোকে নিয়ে পালাবার ভিসা!!
- ইস!! বলেছে তোকে...!!

: দ্যাখ, তুই আমাকে ভালোবাসিস আমিও তোকে... কাপুরুষের মতন পালাতে হবে না আমাদের...

সবার অনুমতি নিয়েই আমরা শুরু করবো আমাদের নতুন জীবন... হারিয়ে গিয়েও নতুন করে দুজন খুঁজে পাবো দুজনকে... ‘ভালোবাসা’ হবে আমাদের অনুমতি, ‘বিশ্বাস’ হবে বাহন আর ‘সম্পর্ক’ আমাদের ম্যাপ...!! সুতরাং, এ তিনটির ওপর চোখ বুজে ভরসা করে বেড়িয়ে পড়বো দুজনে... কি যাবি না?

ছলছল করে উঠলো অনুর চোখ...

মনে মনে ভাবছে- এই ছেলেটির ওপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়...
হারিয়ে যাবে সে...
আপাতত, অপেক্ষায় থাকবে হারানোর...
ভালোবেসে হারানোর... ভালোবাসায় হারানোর...

১১ মার্চ ২০১৪




৩.

- তুই এখানে কী করছিস?? 
- কিরে!! চমকে দিলাম তো!!

- তা আবার দিস নি!! কিন্তু, তুই এখানে কী করছিস??

- আসলে তোকে সারপ্রাইজ করবার কোনো উদ্দেশ্য আমার ছিল না। জাস্ট মন চাইলো, চলে এলাম! তবে তুই এতটা চমকেছিস কেন, সেটাই ভাবছি...

- ওমা!! চমকাবো না!! বলা নেই, কওয়া নেই, কোথা থেকে হুট করে আবির্ভূত হলি!!
- আচ্ছা, তারমানে তুই আমাকে এক্সপেক্ট করিস নি!! 

- না...
- এটাই আসলে রহস্য...

- কী রকম? 
- তুই আসলে আমাকে এক্সপেক্ট করিস না কখনও...

- না... তা না আসলে... মানে... 
- আর কিছু বলতে হবে না অনু... আমি বুঝে গেছি...

- কি বুঝলি বুদ্ধু?? 
- বুঝলাম যে, তোকে সারপ্রাইজ করা আসলেই অনেক সহজ...
- হুম...

- কেউ যখন কাউকে এক্সপেক্ট করে না, তখন তাকে মুহূর্তেই সারপ্রাইজ করা যায়... এখন যেমন আমি তোকে করলাম... এই ঘটনাটি আসলে সারপ্রাইজ নয়, এটি কেবলমাত্র একটি সুন্দর মুহূর্ত... সারপ্রাইজের অর্থ আরো গভীর... এতে ডেডিকেশন লাগে, লাগে চমক... এটা স্পেশাল হয়...

-মুহূর্তটি স্পেশাল আমার জন্য অভি... 



-দ্যাখ, খুব সহজে কিছু করা গেলে সেটির মূল্য বেশিদিন টেকে না... কষ্টার্জিত জিনিস বেশিদিন টেকে... তোকে সারপ্রাইজ করবার জন্য আমি আরো খাটুনি করতে চাই, আরো ডেডিকেশন দিতে চাই।

- আরে, আজকের দিনটির মূল্য সত্যিই থাকবে আমার কাছে...

- আমি কথা দিচ্ছি... আজকের মতন আরো অনেক মুহূর্ত আমি তোকে দেবো... তুই শুধু আমাকে অবহেলা করিস না... অবহেলা সহ্য হয় না আমার... একেবারেই না...

আমি তোকে যত্নে রাখবো... খুব যত্নে... অবহেলায় অনাদরে অনেক দামি জিনিসও নষ্ট হয়ে যায়... তুই আমার কাছে দামির চেয়েও দামি...

অনেক বেশি দামি...


১২ মার্চ ২০১৪