Monday, October 24, 2016

ফারজানা সিরাজের ‘সবুজ নারী’: স্বপ্ন থেকে বাস্তবে

-    আশিস বিশ্বাস, অনলাইন সংবাদকর্মী, মেইল: ashishbiswas@rocketmail.com

Farjana Siraj

‘নারী নিজের শরীরকে ট্যাবু বানিয়ে ফেলেছেন...তারা মনে করেন, নারীর শরীর নিষিদ্ধ কিছু...! তারাও যে রক্তেমাংসে গড়া মানুষ, সে কথা তারা একেবারেই ভুলে গেছেন। তারা নিজেদের দাসী বলে মনে করেন। আর সে কারণে পুরুষরা তাদের দাসী বলেই মনে করেন আর নিজেদের চিন্তা করেন ঈশ্বর হিসেবে...!’ এই অসচেতনতার কারণে নারী বিভিন্ন ধরনের রোগশোকে ভুগে থাকেন। অথচ একটু সচেতন হলেই অনেক সমস্যা থেকে তারা রেহাই পেতে পারেন! তারা ‘সবুজ নারী’তে পরিণত হতে পারেন। সবুজ যেমন সুস্থতা, শুদ্ধতা, উচ্ছ্বলতার প্রতীক, নারীও তাই। নারী সবুজ হোক, সুস্থ থাক, সে কারণে নারীকে ‘সবুজ নারী’ত পরিণত করতে চাই!’

এ কথাগুলো বলছিলেন, ফেসবুকে একক চেষ্টায় গড়ে তোলা ‘Green Women’ ক্যাম্পেইনের মূল সংগঠক ফারজানা সিরাজ। তিনি ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর।  বাড়ি বৃহত্তর কুষ্টিয়ার চুয়াডাঙ্গায়। থাকেনও সেখানে। সেখান থেকেই ফেসবুকে গড়ে তুলেছেন ‘Green Women’ ক্যাম্পেইন। 

যৌথপরিবারে বড় হয়েছেন বলে সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার মনোভাব গড়ে উঠেছে ফারজানা সিরাজের মধ্যে। এ ছাড়া বাবা সিরাজুল ইসলাম বাউল ঘরানার মানুষ হওয়াতে সব ধরনের মানুষের বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল। এতে করে সমাজ সেবামূলক দায়টা নিজের জীবনবোধের মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন ফারজানা সিরাজ।  তার বাবাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। পেশায় শিক্ষকতা।

Farjana Siraj

এ ছাড়া নিজের কৈশোরের ভুল সিদ্ধান্ত এবং তার খেসারত দেওয়া নিজের চেতনাকে আরো শাণিত করেছে। কিন্তু মা-বাবার ক্ষমার মহান যোগ্যতা দেখে ফারজানা সিদ্ধান্ত নেন বাবার মতোই মানবসেবা করবেন। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত নারীকে টেনে আনবেন সমাজের মূলধারায়। ফারজানা তার সবকাজে মা হাসিনা মমতাজের সহযোগিতা পেয়েছেন। পাশে থেকে তিনি সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন। এখনো দিচ্ছেন। এই উৎসাহ ফারজানার মানসিক শক্তিকে দ্বিগুণ করেছে।

ফারজানা সিরাজ জানালেন, তার মানসপট তৈরিতে রত্মা খালার অবদান অপরিসীম। তিনি তাকে বই কিনে দেওয়া থেকে শুরু করে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন। তার সব আবদার মিটিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বড় হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে রত্মা খালার অবদান মায়ের মতো। মা বলতে যা বোঝায়, তাকে তাই বুঝেছি। বই বলেন, আবদার বলেন রত্মা খালাই সব কিছু মিটিয়েছেন।’

বাবার কথা বলতে গিয়ে ফারজানা বলেন, ‘মানুষকে মানুষ হিসেবে বলতে শেখা, মানুষকে মানুষ ভাবা, তা বাবা সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে পেয়েছি। আর যৌথ পরিবারের কারণে সামাজিক হওয়ার চেতনা পেয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘নানা-নানির ১১ জন ছেলে-মেয়ে। ফলে, তাদের ছেলে-মেয়ের সঙ্গে একসাথে বড় হয়েছি। হৈ হুল্লোড় করা থেকে সবকাজ আনন্দের সঙ্গে করেছি। যৌথপরিবারের সুফলটা ভোগ করেছি।’

Discussion at TSC

Green Women (সবুজ নারী) ক্যাম্পেইন

কীভাবে ‘গ্রিন উইমেন’ ফেসবুক ক্যাম্পেইনটা শুরু হলো সে বিষয়ে বলতে গিয়ে ফারজানা সিরাজ জানালেন, পারিবারিক মূল্যবোধ এ বিষয়ে মূল ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া কৈশোর জীবনে যখন তিনি উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষে পড়ছেন, তখন তার এক সহপাঠীকে বিয়ে করে ফেলেন। এরপর তিনি তাকে নিয়ে আলাদা বাসা ভাড়া করে পড়াশুনার পাশাপাশি জীবিকার জন্য শিক্ষকতার পেশায় প্রবেশ করেন।  কিন্তু তিনি যাকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন, তিনি নারী প্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান। তিনি মনে করতেন, মেয়েরা বেশি পড়াশুনা করলে বখে যায়! দুজনের ভিন্ন সংস্কৃতি ও সামাজিক অবস্থান ফারজানা সিরাজের এগিয়ে চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। একটি ছেলে সন্তানের জন্মদানের পরেও শ্বশুরবাড়িতে তাকে মেনে নেওয়া হয়নি। স্বামী-সন্তানের শ্বশুরবাড়িতে অবাধ যাতায়াতের সুযোগ থাকলেও তার প্রবেশের অধিকার ছিল না। এ বিষয়ে তার সঙ্গীর অবহেলা ফারজানার মনে আঘাত দেয়।

ইংরেজি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ফারজানা পরবর্তীতে একাই পথ চলার সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় তিনি সংবাদমাধ্যমে একটি খবর পড়েন, জরায়ু ক্যান্সার বিষয়ে। নারীর অসচেতনতা, কুসংস্কার ও নারী তার শরীরকে ট্যাবু হিসেবে বিবেচনা করায় এ ক্যান্সার প্রতিরোধে অন্যতম বাধা হিসেবে জানতে পারেন তিনি। এরপর তিনি এ বিষয়ে আরো পড়াশুনা শুরু করেন। তিনি জানতে পারেন, গরিব ও নিরক্ষর পরিবারের মেয়েদের পিরিয়ডের সময় স্যানিটার ন্যাপকিনের বদলে কাপড় ব্যবহার করেন। কিন্তু ব্যবহার পরবর্তী এই কাপড় রোদে শুকাতে পারেন না বাবা, ভাই, বন্ধু, স্বামী কিংবা পুরুষরা জেনে ফেলবে এই লজ্জায়। এ কারণে তারা এই কাপড় আড়ালে-আবডালে কিংবা ভেজা অবস্থাতেই জড়িয়ে রাখেন। এই নোংরা কাপড় ব্যবহার মেয়েদের জরায়ু ক্যান্সারের জন্ম দিতে পারে। কোনো নারীর একবার জরায়ু ক্যান্সার হলে তা অপারেশন করতে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা খরচ হয়। অথচ এই অর্থ যোগাড় করা তাদের পক্ষে সম্ভবপর হয় না। এ কারণে অকালে প্রাণ হারান অসংখ্য নারী। কিন্তু একটু সাহস ও আত্মবিশ্বাস থাকলেই এ সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব।

Discussion at TSC in Dhaka University

এরপরেই ফারজানা সিরাজ সিদ্ধান্ত নেন, ফেসবুকে নারীর যৌনস্বাস্থ্য বিষয়ক ক্যাম্পেইন শুরু করবেন। ক্যাম্পেইনে যে অর্থ সংগৃহীত হবে, তা দিয়ে সুবিধাবঞ্চিত কর্মজীবী নারীদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে সচেতন করবেন এবং বিনামূল্যে তা বিতরণ করবেন। তারপর তিনি চলতি মাসে (অক্টোবর, ২০১৬) ফেসবুকে ‘Green Women’ শিরোনামে ফেসবুকে ক্যাম্পেইন শুরু করেন। স্লোগান দেন, "Donate A Pad For A woman. "

তিনি ধারণা করেছিলেন, হয়ত তেমন একটা সাড়া পাবেন না। কিন্তু তার ফেসবুক বন্ধুদের সাড়া দেখে অবাক হয়ে যান তিনি। গ্রিসে থাকা এক বন্ধু অনিন্দ্য শ্রাবণ তাকে এক হাজার টাকা পাঠিয়ে জানান, কাজ দেখাতে পারলে অনুদানের অর্থ জ্যামিতিক হারে বাড়বে। এরপর সুইডেন প্রবাসী এক বোন তাকে অর্থ পাঠিয়ে উৎসাহ দেন।

এ ছাড়া পরিচিত এক ছোট বোন শামসুন্নাহার বিনা প্রথম ২০ টাকা বিকাশ করেন এবং জানান, তিনিও তার সঙ্গে কাজ করবেন। মা হাসিনা মমতাজ ফারজানাকে ৫০ টাকা অনুদান দেন, কাজে উৎসাহ দিতে।

এরপর এগিয়ে আসেন ফেসবুক বন্ধু মোস্তাফিজুর রহমান রবিন, হোসেন হৃদয়, কাব্যিক রবি। তারাই এখন মাঠপর্যায়ের কাজে সরাসরি সহযোগিতা করছেন ফারাজানা সিরাজকে।

ফারজানা বলেন, ‘অনিন্দ্য শ্রাবণ, তার বন্ধু ও শামসুন্নাহার বিনার পর অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ুয়া মোস্তাফিজুর রহমান রবিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মিউজিক বিষয়ে পড়ুয়া হোসেন হৃদয় ও কাব্যিক রবি আমার সাহায্যে এগিয়ে আসে।’ তিনি বলেন, ‘এরপর আরো অনেকেই আমার সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া পাবনা থেকে এগিয়ে আসেন ইফতেখারুল ইসলাম শুভ্র। তিনি বিকাশে টাকা পাঠানো ছাড়াও যেদিন আমরা টিএসসিতে আলোচনায় (১২ অক্টোবর,২০১৬) বসি, সেও আসে। এখানেই আমরা পরিকল্পনা করি, কীভাবে গ্রিন উইমেনদের সাহায্য করা যায়।'

ফারজানা বলেন, 'অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। তবে রাসিব আর রিয়াজের কথা না বললেই নয়। রিয়াজ চট্টগ্রামে বসেই আমাদের সময় ও অনুপ্রেরনা দিয়েছেন।'

Farjana Siraj

স্যানিটারি ন্যাপকিন ডোনেশন পরিকল্পনা

ফারজানা সিরাজ বলেন, ‘আমি চুয়াডাঙ্গা থাকি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আলোচনা করার জন্য আমি চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় আসি। সেখানে উপস্থিত হয়, মোস্তাফিজুর রহমান রবিন, হোসেন হৃদয় ও কাব্যিক রবি। আমরা আলোচনা করে ঠিক করি, প্রথম পর্যায়ে দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের মধ্যে ৭টিতে ২০০ জন করে সুবিধাবঞ্চিত কর্মজীবী নারীদের মধ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। বিভাগীয় পর্যায় শেষ হলে জেলা পর্যায়ে। এভাবে ৬৪ জেলায় এবং পরবর্তীতে উপজেলা থেকে গ্রামেও এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। সেই সঙ্গে ফেসবুকে ক্যাম্পেইন চলতে থাকবে। যখন যে এলাকায় যাবো, সেখানকার সবাইকেও আহ্বান জানানো হবে, এ কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার জন্য।’

এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথমেই তারা ঢাকায় ২০০ জনকে স্যানিটারি ন্যাপকিন সহায়তা করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। যে কথা, সেই কাজ।

ফারজানা বলেন, ‘সেই দিনই আমরা নীলক্ষেতে যাই,। গ্রিন উইমেনের লোগো ছাপিয়ে ২০০ স্যানিটারি প্যাড কিনে আমরা সংসদ ভবনের উত্তরদিকের চন্দ্রিমা উদ্যানে চলে যাই। আমরা চারজন মিলে এই প্যাডে লোগো লাগাতে বসে যাই। এক সময় পুলিশ এসে জানতে চায়, কী করছি। আমাদের কার্যক্রমের কথা জেনে তারা চলে যায়।

At Chandrima Uddyan, Agargaon, Dhaka
ফারজানা জানান, ‘প্যাড রেডি হওয়ার পরও ঠিক করা হয়নি কোথায় বিতরণ করা হবে। কাব্যিক রবি দায়িত্ব নেয় কোনো এক গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার। পরদিন চীনের প্রেসিডেন্ট ঢাকায় আসবেন বলে কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়। আমরা তিনজন প্যাড নিয়ে আগারগাঁও হাজির হই। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছিল না, কোথায় বিতরণ করা হবে। সকাল আটটা থেকে ১১টা পর্যন্ত এভাবেই চলতে থাকে। এরপর সকাল ১১টার সময় কাব্যিক রবি জানায়, গাজীপুরের মৌচাকের এক গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা রাজি হয়েছেন, তাদের কর্মীদের মধ্যে প্যাড বিতরণ করতে। তবে বিকেল ৫টার আগে বিতরণ করা যাবে না।’

তিনি জানান, ‘এরপর সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বাসে উঠে পড়ি। মৌচাক পৌঁছাতে আমাদের বিকেল সাড়ে তিনটা বেজে যায়। আমি, রবিন ও হোসেন হৃদয় সেই গার্মেন্টসে পৌঁছাই। তখন বিকেল চারটা।

সাদমান ফ্যাশনওয়্যারের এনকে নিটওয়্যার  

সহযোগিতায় সাদমান ফ্যাশনওয়্যারের এনকে নিটওয়্যার  

ফারজানা জানালেন, ‘মৌচাকের সাদমান ফ্যাশনওয়্যারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এনকে নিটওয়্যারে পৌঁছালে সেখানকার কর্তৃপক্ষ আমাদের সাদরে অভ্যর্থনা জানান। তারা আমাদের জন্য লাঞ্চের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তখন আমাদের মাথায় স্যানিটারি ন্যাপকিন কীভাবে বিতরণ করবো, সে চিন্তাই শুধু ঘুরপাক খাচ্ছিল। ফলে, আমরা তাদের কনফারেন্স রুমে বসে যাই, বিতরণের সামগ্রী প্রস্তুত করতে।

এনকে নিটওয়্যারে মোট ৫শ কর্মী কাজ করেন। আমরা বলেছিলাম, ২০০ নারী কর্মীকে নিয়ে আমরা আলোচনা করবো এবং তাদের মাঝে প্যাড বিতরণ করবো।
In discussion

বিকেল পাঁচটার দিকে কনফারেন্স রুমে আমরা নারী কর্মীদের নিয়ে আলোচনায় বসি। পিরিয়ড চলার সময় কাপড় ব্যবহারের নেতিবাচক দিক ও স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের সুবিধা নিয়ে আলোচনা করি। প্রথমে তারা লজ্জাবোধ করলেও পরে সহজ হয়ে যান। বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকেন। এ সময় তারা তাদের এই আর্থিক অবস্থায় স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনা কষ্টকর বলে জানান। কিন্তু তখন তাদের জানাই, প্রতিদিনের খরচ থেকে মাত্র দুই টাকা করে ঘরে কোথাও জমা করতে। পরে মাস শেষে জমা হওয়া ৬০ টাকা দিয়ে স্যানিটারি প্যাড কিনতে বলি। তারা তাতে সম্মতি জানান।’

Discussion with the garments workers



ফারজানা জানালেন, ‘এই আলোচনার ফাঁকে একজন দুইজন করে পুরুষ কর্মীও আলোচনা শুনতে আসেন। তাদের সঙ্গেও কথা হয়। তাদের সঙ্গে আলোচনায় অনেকের স্ত্রীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন তারা। তাদের সঙ্গে আলোচনায় আমাদের কার্যক্রমে নতুন আরেক বিষয় যোগ করার চিন্তা আসে। সেটা হলো, প্রতিমাসে এই সব গার্মেন্টস কারখানাসহ সুবিধাবঞ্চিত কর্মজীবী নারী-পুরুষদের সঙ্গে আলোচনা ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একজন করে স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসককে আনা।


https://www.facebook.com/farjana.shiraj/videos/224777734606781/ 

গ্রিন উইমেনের লোগো  

ফারজানা জানান, তাদের কাজের সুবিধার্থে একটি লোগো ব্যবহারের চিন্তা করেন। এরপর তিনি গ্রিন উইমেনের লোগো তৈরি করে দেওয়ার জন্য ফেসবুকে আহ্বান জানান। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঐশী নামে একটি মেয়ে লোগো তৈরি করে দেন। লোগোতে নারী এবং নারীকে সবুজ হিসেবে দেখানো হয়। লোগোটিকে ওয়েব ডিজাইনে রূপ দেন পাবনার শুভ্রের এক বন্ধু শুভ।

নারী কেন সবুজ

নারীকে কেন সবুজ বলছেন জানতে চাইলে গ্রিন উইমেনের সংগঠক ফারজানা সিরাজ বলেন, নারী হবে শুদ্ধতা, সুস্থতা, কৈশোর, উচ্ছ্বলতার প্রতীক। নারীকে সবুজ গাছের সঙ্গে তুলনা করে ফারজানা বলেন, ‘সবুজ হচ্ছে সুস্থতার প্রতীক। নারী সদা সবুজ থাক। নারী সর্বদা সবুজ থাক, ঝলমলে থাক, সুস্থ থাক’ গ্রিন উইমেনের উদ্দেশ্য তাই।


পরবর্তী কর্মসূচি রাজশাহীর গোদাগাড়ী

   
আগামী ২৬ অক্টোবর নারীর যৌনস্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে আলোচনা করতে ও ২০০ প্যাড বিতরণ করতে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ওই এলাকার আগ্রহীদের আলোচনায় হাজির হতে ফেসবুকে আহ্বান জানিয়েছেন ফারজানা সিরাজ। এলাকার সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পেশাজীবীরা তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এটা হবে ফারজানার গ্রিন উইমেনের দ্বিতীয় কর্মসূচি। পরবর্তীতে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে রংপুর ও খুলনায়। এরপর ধারাবাহিকভাবে বিভাগীয় শহর শেষ করে জেলা পর্যায়ে কর্মসূচি  শুরু করবেন ফারজানা।

তিনি জানান, এরপর তিনি চেষ্টা করবেন, সুবিধাবঞ্চিত কর্মজীবী নারীদের জন্য তিন টাকা দামের স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করতে। তার এই কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু করেছেন তিনি।

ফারজানা সিরাজের পরিচিতি
Fajana Siraj
ফারজানা সিরাজের বাড়ি বৃহত্তর কুষ্টিয়ার চুয়াডাঙ্গায়। তার বাবা সিরাজুল ইসলাম ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। তিনি লালনভক্ত একজন মানুষ। নিজেকে সাধারণের সহযোগিতা করায় উৎসর্গ করেছেন। তার মা হাসিনা মমতাজ সবসময় তার পাশে রয়েছেন। এ ছাড়া তার ছোটবোন রোখসানা সিরাজ ঢাকার ইডেন কলেজের একজন শিক্ষার্থী। ছোটভাই শাহরিয়ার নাফিস স্থানীয় একটি স্কুলে ক্লাস সেভেনে পড়ছে।

আর ছেলে সোহাইল ইব্রাহিম (সাড়ে চার বছর) ফারাজানা সিরাজের একমাত্র অনুপ্রেরণা গ্রিন উইমেন ক্যাম্পেইনের।

Son Sohail Ibrahim and Farjana Siraj
(চলবে)

https://www.facebook.com/farjana.shiraj

Thursday, December 31, 2015

২০১৫: পেছনে ফেলে নারীশক্তি শুভবুদ্ধি বিজ্ঞান এগিয়ে




২০১৫: পেছনে ফেলে নারীশক্তি শুভবুদ্ধি বিজ্ঞান এগিয়ে

-আশিস বিশ্বাস, সংবাদকর্মী
facebook@ ashish.biswas.33; twitter @Ashishkbiswas; mail: ashishbiswas@rocketmail.com



২০১৫ সাল পৃথিবী ও বাংলাদেশ এবং সেই সঙ্গে ভারত উপমহাদেশের ছিল শনির দশা। বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস (Islamic State of Iraq and Syria-ISIS, ISIL,IS) গোষ্ঠীর তাণ্ডব দেখিয়ে দিয়েছে, ধর্মের আদিম অবস্থা!! কত ভয়ঙ্কর ছিল হাজার বছর আগেকার ধর্মীয় ব্যবস্থাইতিহাস জানায়, ধর্মের বিস্তার ঘটেছে, ধর্মীয় প্রচারক ও রাজাদের মাধ্যমেরাজ্য বিজয় করে রাজাদের ধর্মগ্রহণে বাধ্য করা হয়েছে প্রজাদের।

এটা সব ধর্মের ক্ষেত্রেই ঘটেছে, শুধুমাত্র বৌদ্ধধর্ম ছাড়া। কিন্তু বিগত দশকে এ ধর্মের সহিংসরূপও পৃথিবীবাসী লক্ষ করেছে, মায়ানমারসহ বৌদ্ধ অধ্যূষিত দেশগুলোতে।

নতুন করে পুঁজিবাদী দেশের লোভলালসা চরিচার্থ করতে উত্থান ঘটানো হয়, ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোকে। একটার পরিপ্রেক্ষিতে অারেকটা ধর্মীয় গোষ্ঠীর জন্ম হয়েছে! পৃথিবী কাঁপিয়েছে, আইএস আর ভারত কাঁপিয়ে বিজেপি (ভারতীয় জনতা পার্টি) এবং এর শরিকদল; ধর্মের আদিম সত্তাকে সামনে এনে।

পৃথিবীর সভ্যতার ধারা এসব অমানবিক ব্যবস্থাকে পরিহার করায় সব ধর্মই তাদের ধর্মীয় বিধানকে বিজ্ঞানের জয়যাত্রার সঙ্গে সঙ্গে পরিশুদ্ধ করে নিয়েছে। সব ধর্মই দাবি করেছে, তাদের ধর্ম বিজ্ঞানভিত্তিক। মজার ব্যাপার, বিজ্ঞানকে ধর্মের কাছে যেতে হয়নি তার সত্যতা প্রমাণের জন্য। ধর্মকেই বার বার বিজ্ঞানের কাছে যাতে হয়েছে। সনদ নিতে হয়েছে, ধর্মটি বিজ্ঞানভিত্তিক। কারণ, প্রচলিত ধর্মের অস্তিত্বত আজ প্রশ্নের মুখোমুখি।

বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় বিজ্ঞানই বিজ্ঞানের আগের মতবাদকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানের ধারণা বদ্ধমূল নয়, আপেক্ষিক। কারণ, আরো উন্নত প্রযুক্তি আগের প্রযুক্তিকে পেছনে ফেলে সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।

আর এদিকে, পুঁজির লোভে ধর্মের পুরনো ব্যবস্থাকে ফের জীবিত করেছে, রাষ্ট্রীয় শক্তিগুলো। রাষ্ট্রে যে ধর্মের শাসকেরা অবস্থান করেছেন, তাদের মতো করেই এবং তাদের স্বার্থেই বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে উসকে দিয়েছেন। ফলে, পৃথিবী এত অস্থির



ধর্ম রক্ষার নামে আইএস মানুষকে নৃশংসভাবে জবাই, পুড়িয়ে মেরেছে; যা ধর্মের অসারতাকেই তুলে ধরেছে। তবে তাদের প্রতি নীরব সমর্থন আরো ভয়ঙ্কর বার্তা দিয়েছে, পৃথিবীকে। কিন্তু বড় সত্যি হচ্ছে, ধর্মের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য ধর্ম! মানুষ না থাকলে ধর্মের অস্তিত্বই তো থাকে না। কিন্তু এই ধারণাকে অস্বীকার করে গায়ের জোরে তাদের মতবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। কিন্তু মানুষ এগুলোকে শত শত বছর ধরে পরিহার করে এসে নিজেদের আরো যুক্তিবাদী ও মানবিক করেছেন। মানুষ আরো সভ্য হয়ে মানুষে পরিণত করছেন।

এদিকে, ভারতের বিজেপি সরকার ধর্মের পুরনো এবং পরিত্যক্ত ফেলে আসা ধারণা ‘গোমাতা’কে দেবতা বানিয়ে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য মানুষকে পিটিয়ে মেরেছে। আর রাষ্ট্র তার নাগরিককে যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হচ্ছে, সে ব্যাপারে নিশ্চুপ থেকেছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে জেগে উঠেছেন, শিল্পী-সাহিত্যিক, কবি-লেখক এবং সুস্থ ও মুক্তমনা মানুষ।


বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় জঙ্গি তাণ্ডব মানুষের প্রচলিত ধর্মকে যেমন অসার প্রমাণ করেছে, তাতে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে নারীরাও। অথচ সব ধর্মই পুরুষতান্ত্রিক হওয়াতে এর মূল শিকার হয়েছেন, নারীরাই। আবার মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া এবং ইসরাইলের নারীরাও সোচ্চার হয়েছেন, এরই বিরুদ্ধে।

ফলে, বিশ্বে নারী নতুন একটা ‘শক্তি’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তারাও প্রমাণ করেছেন, পুরুষের পাশাপাশি কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরুষ থেকেও তারা এগিয়ে।

আশা করা যায়, ২০১৬ সালে ‘নারীশক্তি’ আরো শক্তি অর্জন পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তোলার জন্য আরো বেশি ভূমিকা রাখবে। পুরুষ যেমন ‘ধ্বংস’র প্রতীক তেমননি নারী ‘সৃষ্টি’র প্রতীক হিসেবে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে।

ধর্মীয় জঙ্গি তাণ্ডব বিশ্বব্যাপী ‘অভিবাসী’ ‘শরণার্থী’ তৈরি করেছে। সবচেয়ে বড় সত্যি হলো, ধর্ম যে মানুষের বন্ধু নয়, তা হাড়ে হাড়ে প্রমাণ করে দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো। অথচ ইউরোপীয় দেশগুলো ‘আইলান কুর্দি’র মৃতদেহ দেখেই তাদের মনোভাব পরিবর্তন করে ১০ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। শরণার্থীদের মধ্যে অর্ধেকই আগত সিরিয়া থেকে। সিরিয়া এখন ধর্ম এবং বিশ্বশক্তির গিনিপিগ।

পৃথিবীর সব সমস্যাই সমাধানযোগ্য। দরকার শুধু শুভবুদ্ধি উদয়ের। সে ক্ষেত্রেও পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের জন্যই।

এছাড়া মানুষের জয়যাত্রা বিজ্ঞানের ধারায় অব্যাহত রয়েছে। আমাদের সৌরমণ্ডল ছাড়িয়ে অন্য গ্যালাক্সি এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি রহস্য উদঘাটনে বিজ্ঞান আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অগ্রগামী। সার্ন এবং মঙ্গলে পানির অস্তিত্ব মানুষের আশাকে আরো আশাবাদী করেছে।

মানুষের চোখ এখন বহির্বিশ্বের মিলিয়ন আলোকবর্ষের দূরে ইন্টারস্টেলার (Interstellar) পর্যন্ত চলে গেছে। এ যাত্রা এখনো অব্যাহত।

০১৬ সাল নারীশক্তি ও বিজ্ঞান আমাদের নতুন বাসযোগ্য পৃথিবী তৈরিতে আরো যে ইতিবাচক মাত্রা যোগ করবে, তা বিদায়ী ২০১৫ সালেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

জয়তু নারীশক্তি ও বিজ্ঞানের। তবে পেছনে পড়ে গেল প্রচলিত ধর্ম। মানুষের ধর্ম যে মানবতা, সেটাই আবারও প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, সেটাই বড় সান্ত্বনার বাণী!


                                                       ....................................................

Thursday, September 3, 2015

Oh no, so-called civilized Europe!



migrants child washed away near Libya coastal...








Migrants babies born at Hungarian railway station as bodies of Syrian children wash up in Turkey

 
Two baby girls were born in filthy conditions outside the station in Budapest and thousands tried to board trains to a better life in Europe

Their names are Hope and Shelter.

   

Amid the chaos and desperation of the spiralling migrant crisis, two babies born in the shadow of a Hungarian railway station. One baby girl was reportedly born in an underpass next to the station in the capital of Budapest.



The four-day-old infant is believed to have been named Sadan - which means 'the shelter' - by her parents, who are among thousands desperately trying to board trains to Germany.

Another baby girl was born to a widowed refugee mother in a filthy subway after an ambulance reportedly refused to take her to hospital.

 

Desperation: The makeshift refugee camp at Keleti train station
She has been named Shems, which means 'sunlight and hope' in her war-torn homeland.

A Migration Aid volunteer, who helped deliver her, told the Sun: “She was born here because the ambulance refused to take her mother to hospital.

“It was a wonderful moment but it broke my heart it happened in such an awful place.”

Warning: Distressing images

http://www.mirror.co.uk/news/world-news/migrants-babies-born-hungarian-railway-6371715#ICID=sharebar_facebook


The bodies of five-year-old Galip Kurdi and his three-year-old brother Aylan wererecovered from a beach in the Turkish resort of Bodrum after washing up on theshore.

The innocent youngsters were among 12 refugees who drowned after migrant boats sank while trying to reach Greece on Monday night.



Reuters Turkish gendarmerie carries a young migrant, who drowned in a failed attempt to sail to the Greek island of Kos

The local coastguard says the Syrian refugees had crowded onto two inflatable boats which were launched in darkness in the hope of reaching the holiday island Kos.

It's a 12-mile boat journey which thousands of Western tourists enjoy each year.

For them it takes no more than 30 minutes and costs about £20.

But as these harrowing images reveal, Syrian migrants are paying with their lives.

The cheap dinghies carrying a total of 23 people - launched from the Akyarlar area of the Bodrum peninsula - disintegrated in the Mediterranean sea, sending those on board into the water.


The confirmed dead included five children and one woman.

Reuters A Turkish gendarmerie stands next to a young migrant, who drowned in a failed attempt to sail to the Greek island of Kos

In one of the most distressing images to emerge, a little boy wearing a bright red t-shirt and shorts lies face-down in the surf.

In a second, a grim-faced policeman carries the tiny body away.

The images have been shared widely on Twitter, especially in Turkey.

The hashtag "KiyiyaVuranInsanlik" - "humanity washed ashore" - became the top trending topic on Twitter.

Seven people were rescued from the disaster and two reached the shore in lifejackets.

A Turkish navy official said hopes were fading of saving the two people still missing.


Getty The body of a young man is covered as it lies on the shores of the city of Bodrum, in southern Turkey

Tensof thousands of Syrians fleeing the conflict in their homeland have descended on Turkey's Aegean coast this summer to board boats to Greece, their gateway to the European Union.

Labour leadership contender Yvette Cooper has begged Britain to do more by accepting10,000 refugees and called for a "national mission" to end themisery.

Referencing today's pictures of the dead Syrian children, the shadow home secretary said: "When mothers are desperately trying to stop their babies from drowning when their boat has capsized, when people are being left to suffocate in the backs of lorries by evil gangs of traffickers and when children's bodies are being washed to shore, Britain needs to act.

"It is heartbreaking what is happening on our continent. "We cannot keep turning our backs on this.

"We can - and must - do more. If every area in the UK took just 10 families, we could offer sanctuary to 10,000 refugees. Let's not look back with shame at our inaction."

Overnight, migrants desperately trying to reach Britain targeted Eurostar trainsbecause of increased security measures at the Channel Tunnel.

Passengers stranded in northern France described being "surrounded by migrants" who blocked tracks and climbed on to train carriages in their efforts to enter the UK.

National Pictures Passengers on the Eurostar train in Calais at 2am this morning



Two trains were forced to turn back, one to London and one to Paris, while a rescue train was sent for passengers left in "disgusting" conditions when their service broke down near Calais.

Gauri van Gulik, Deputy Europe Director at Amnesty International, called on European leaders to do more.

He said: "Europe as a whole is facing its biggest test of humanity in decades, and so far European leaders are failing miserably.

"The crisis is not people coming to Europe, the crisis is Europe’s woefully inadequate response.

"Our message to European leaders is clear and consistent – live up to your international obligations to protect those who need it.

“No more fences and razor wire. No more tear gas and stun grenades. No more forcing refugees to die in cramped, hellish conditions on perilous journeys.”

Aid agencies estimate that, over the past month, about 2,000 people a day have been making the short crossing to Greece's eastern islands on rubber dinghies.


Heartbreaking human face of a tragedy we can no longer ignore

The distressing picture of the drowned young boy in bright red T-shirt and blue shorts must be a wake-up call for Europe.

On our Continent and off its shores a terrible humanitarian tragedy is unfolding which shames all those Governments, including the British, which turn their backs on desperate people.

Because that is who are, as Labour's Yvette Cooper reminded us in a powerful speech, those we group and too readily dismiss as migrants.

They are sons, daughters, fathers and mothers. They are that dead boy.

The dehumanising of the desperate by the likes of David Cameron, the Prime Minister's "swarm" insult the politically motivated jibe of a cold heart, or the toxic tub-thumping of Ukip's Nigel Farage will go down in history as the poisonous indifference of callous politicians to the suffering of the persecuted.

Europe must do more. Britain must do more. Waiting for peace in the Middle East is the excuse of the coward.

Britain has a proud history of giving refuge. Britons are a kind, open, generous people.

To save others let the awful death of that boy be the moment we all stood up to be counted by doing the right thing.

http://www.mirror.co.uk/news/world-news/migrants-babies-born-hungarian-railway-6371715#ICID=sharebar_facebook

Live Leak



Hundreds of Syrians have drowned this year whilst attempting to escape assad's terror state.

Whilst the numbers of children and infants who have drowned off the coast of Syria is dwarfed by the numbers who have been murdered by regime terror raids, barrel bombings, the eastern Ghouta Sarin nerve gas attack, and forced starvation campaigns, the number is rising very rapidly now.

Earlier this week children began washing ashore at Bodrum, and these images depict four of them.

























Wednesday, September 2, 2015

॥ সাংবাদিকতার দায় ॥ Responsibilities of Journalism








সাংবাদিকতার দায় Responsibilities of Journalism
-আশিস বিশ্বাস


‘Journalism is information. It is communication. It is the events of the day distilled into a few words, sounds or pictures processed by the mechanics of communication to satisfy the human curiosity of a world that is always eager to know what is new.’
                                                    - David Wain Wright W.H.Allen.


উল্লিখিত সংজ্ঞা দিয়ে চমৎকারভাবে বোঝা যায় সাংবাদিকতা কী এবং কাকে বলে! সাংবাদিকতা যে একটি যোগাযোগ প্রক্রিয়া সে ধারণাও স্পষ্ট হয় এই সংজ্ঞা থেকেসমাজতত্ত্ববিদ চার্লস কুলী যোগাযোগের ধারণা দিয়েছেন এই বলে যে- মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক যে ক্রিয়াকৌশলের মধ্য দিয়ে বজায় থাকে ও বিকশিত হয়, তা-ই যোগাযোগ

একজন সাংবাদিক এই যোগাযোগের বন্ধন তৈরি করেন সময়ের সাথে সময়ের, মানুষের সাথে মানুষের এবং তাটেনে নিয়ে যান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মেএ কারণে সাংবাদিকতা একটি দায়িত্বশীল পেশাআবার মহান পেশাও!

আর নিউজ বা সংবাদকে বলা হয় ইতিহাসের প্রথম খসড়াআজ যা খবর, আগামীকাল তাইতিহাসসময়ের দলিলযেমন ধরুন, জামাত যে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, তার অকাট্য প্রমাণ কোথায় পাওয়া যাবে ? এর প্রমাণ পাওয়া যাবে ৭১-এর পত্রপত্রিকায়

জামাত-এর দৈনিক পত্রিকার নাম দৈনিক সংগ্রামএকাত্তরের সময়ও এটি ছাপা হতোপ্রতিদিনকার খবরে জামাতের তৎপরতার কথা, জামাত নেতাদের বক্তব্য ওই পত্রিকার কলামে কলামে লিপিবদ্ধ আছেযে কেউ চাইলেই তাদেখতে পারেনতখনকার খবরগুলোই আজ দলিলওই দলিলগুলিই সাক্ষ্য-প্রমাণ দিচ্ছে যে, জামাত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীএটা একটা উদাহরণ দেয়া  হলো মাত্র


খবরবা সংবাদসময়কে ধরে রাখে পত্রিকার পাতায় পাতায়যদিও অডিও-ভিডিও মাধ্যমও সেই একই কাজ করেতবে সাধারণ মানুষের কাছে পত্রিকার কথাই বেশি উঠে আসেতাই পত্রিকার কথা বলা! যে কোনো মাধ্যমের খবর বা সংবাদ এক সময় ইতিহাসের উপাদান হয়ে ওঠেসময় (ঞরসব) একজন সাংবাদিকের কাছে তাই খবরের বস্তনিষ্ঠতা দাবি করেখবরের ভারসাম্যচায়তানা থাকলে, খবরে পক্ষপাতিত্ব থেকে যায়এতে করে সংবাদ মাধ্যমের প্রতি পাঠক-দর্শক-শ্রোতার আস্থাও কমে যায়পরবর্তীতে সে সংবাদ মাধ্যম খুব দ্রুত কালের গর্ভে হারিয়ে যায়কিন্তুু ইতিহাস গড়তে একজন সাংবাদিকের দায় অনেক বেশি হয়ে থাকে

একজন সত্যিকারের সাংবাদিক মন যা চায়, তালিখতে পারেন নাকারণ তিনি আইনের ঊর্ধ্বে ননআবার তিনি বিবেকেরও ঊর্ধ্বে ননতার লেখার দায়-দায়িত্ব তাকে বহন করা ছাড়াও পত্রিকার ওপরও সে দায় এসে পড়েসে জন্য একজন সাংবাদিককে সব সময় সতর্ক থাকতে হয়; সন্দেহ প্রবণ হতে হয়তাকে ভাবতে হয়, তিনি যা লিখছেন, তাকী জনস্বার্থের পক্ষে? তার লেখার কারণে কোনো নির্দোষ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না তো!

সাংবাদিকতা মহান পেশার একটিযদি কেউ সাংবাদিক হতে চান, তবে তাকে মনে-প্রাণেই সাংবাদিক হতে হয়মনে-প্রাণে সৎ থাকতে হয়! তারও আগে তাকে সত্যিকারের মানুষ হয়ে উঠতে হয়নিজেকে ধর্ম, ব্যক্তিস্বার্থ, গোষ্ঠীস্বার্থের ঊর্ধ্বে রাখতে হয়একটি নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে ঘটনা কিংবা খবরকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করতে হয়একজন সাংবাদিককে খবরের পেছনে আর কী কী বিষয় আছে, তাজানতে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়আপাত সত্যি, সত্যি না-ও হতে পারেএখন যা সত্যি বলে মনে হচ্ছে, পরবর্তীতে তাএকেবারে মিথ্যাও প্রমাণিত হতে পারেতাই একজন সাংবাদিককে খুব তীক্ষ্মধী হতে হয়মন চাইলেই সাংবাদিক হওয়া যায় নাতার জন্য নিজেকে একটু একটু করে তৈরি করতে হয়প্রকাশিত খবরের দায়-দায়িত্ব নেয়ার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হয়নিজেকে মানবিক করে গড়ে তুলতে হয়এ ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ-ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার অধ্যাপক কারটিস ডি ম্যাকডোগাল-এর কথা মনে পড়েতাঁর মতে, একজন যোগ্য সাংবাদিককে ২০টি গুণের অধিকারী হতে হয়সেই গুণগুলো হচ্ছে-


১. তিনি হবেন বুদ্ধিমান;

২. তিনি হবেন সকলের প্রতি বন্ধুভাবাপন্নখিটমিটে মেজাজ, অহংকারী, গোমড়ামুখো, হামবড়া ও  মারমুখী ব্যক্তিরা এ পেশার যোগ্য  নন;

৩. তার কল্পনা শক্তি থাকবেকিন্তু তাবলে তিনি কল্পনাপ্রবণ মন নিয়ে কোনো ফ্যান্টাসির রাজ্যে বাস করবেন না

৪. তার থাকবে উদ্ভাবনী শক্তিঅবশ্য এর মানে এই নয়, তিনি অলীক কিছু উদ্ভাবন করবেন;

৫. তার নার্ভ খুব শক্ত হবেকারণ তাঁকে কাজ করতে হবে যথেষ্ট প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়েধরা যাক, যুদ্ধ-দাঙ্গা, দুর্ঘটনা এবং অফিসের প্রতিকূল পরিবেশ;
     
৬. তার কাজে ক্ষিপ্রতা থাকবেকারণ তাঁকে নিদির্ষ্ট সময়ের  ভেতর কপি শেষ করতে হবে প্রচণ্ড স্পিডে কাজ করার দক্ষতা  অর্জন না  করলে তিনি প্রফেশন থেকে হঠে যাবেন তিনি হবেন নির্ভুলতাঁর লেখা পড়বে অথবা শুনবে লক্ষ লক্ষ লোকতথ্যগত ভুল থাকলে তিনি হাস্যাস্পদ হবেনতাঁর প্রতি ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের  প্রতি আস্থা কমে যাবেকাজেই তাকে প্রতিটি তথ্য লেখার সময় সতর্ক হতে হবে;

৭. তিনি হবেন সাহসীযিনি ভীরু প্রকৃতির- সাংবাদিকতা তাঁর জন্য নয়তার জীবনে বিপদ ও ঝুঁকি প্রচুরসাহসের সঙ্গে তার মোকাবেলা করতে হবেবহুলোককে চটাতে হবে, বহু প্রভাবশালীর বিরাগভাজন হতে হবেকিন্তু তাতে ভয় পেলে চলবে না;

৮. তাকে সহনশীল হতে হবেসহ্য করতে হবে দৈহিক অত্যাচারঅসময়ে খাওয়া, অসময়ে নিদ্রা, ‘ভ্রমণং যত্র তত্র, শয়নং হট্টমন্দিরেএজন্য তার চাই উত্তম স্বাস্থ্য

৯. তার চাই সংগঠন শক্তিতিনি হবেন ব্যক্তিগত জীবনে একজন সুসংগঠিত মানুষপড়াশুনা, মেলামেশা, ব্যায়াম, মানসিক  বিনোদন,  কাজ ও গার্হস্থ্য জীবন এ সমস্ত কিছুর মধ্যে সমন্বয় করবেন তিনিপ্রফেশনাল জীবনেও তার চাই সংগঠন ক্ষমতাতাকে কোনোকিছু হাতে তুলে দেবে নাতাকে স্বয়ং উদ্যোগী হয়ে সবকিছু গুছিয়ে তুলতে হবে

ধরুন, একজন ভিআইপি-র অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাওয়া- এ কাজটা তাকেই করে নিতে হবেআবার একটি খবর করতে গেলে ১০-১২টি সূত্র থেকে তাসংগ্রহ করতে হবেএ সব সূত্রের সংগে যোগাযোগ রাখা তারই দায়িত্বতিনি ফটোগ্রাফারকে নির্দেশ দেবেন ডিসপ্লে সম্পর্কেও, প্রয়োজন হলে আলোচনা করবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ  কপি হলে প্রুফও দেখে দেবেনশুধু তাই নয়, প্রকাশিত খবরের ফলো-আপও তাকে করতে হবে;

১০.  তাকে ধৈর্যশীল হতে হবেবার বার ব্যর্থ হলেও তাকে হাল ছাড়লে চলবে নাপেলাম না বা হলো না অথবা করতে পারলাম নাবলে সাংবাদিকদের অভিধানে কোনো শব্দ নেই;

১১. মানসিক সতর্কতা হবে তার সবচেয়ে বড় গুণআইনসভার কিংবা কোনো জনসভার অনেক ক্লান্তিকর একঘেঁয়ে ভাষণের মধ্যে হঠাৎ কোনো একটি মন্তব্য বা বক্তব্য সংবাদ হিসেবে অমূল্য হয়ে উঠতে পারেঅথবা যাতায়াতের পথে বাসে, ট্রেনে, প্লেনে এমন কী পথের মোড়ে হঠাৎ কোনো খবর জন্ম নিতে পারে;

১২. সাংবাদিককে সৎ হতে হবেসাংবাদিকতার পথ পিচ্ছিল ও প্রলোভনের পথতাকে জয় করা ইন্দ্রিয় জয়ের চেয়েও কঠিন ও মহৎ;

১৩. নিয়মানুবর্তিতা তার আর এক গুণযেখানে প্রয়োজন ঠিক নির্দিষ্ট সময়ে সেখানে তিনি হাজির হবেননচেৎ অন্যের মুখ থেকে শুনে বিবরণ লিখলে তিনি অনেক কিছু মিসকরবেন;

১৪. তাকে সব সময় সহাস্য বদন থাকতে হবেসাংবাদিক তাঁর সরস ব্যক্তিত্বের দ্বারা সকলকে আকৃষ্ট করবেনতিনি জীবন বিমুখ নন জীবনবাদী;

১৫. তার থাকবে পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাসাংবাদিক এক বিশ্লেষণী ক্ষমতার অধিকারী হবেনসমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণ করে ভালোমন্দ উভয় দিক বিশ্লেষণের ক্ষমতার তাঁর সহজাত হওয়া উচিত;

১৬. সাংবাদিককে হতে হবে কূটবুদ্ধিসম্পন্নতিনি বুদ্ধিমান হবেন কিন্তু তাঁকে বহুক্ষেত্রে কুটিল হতে হবেঅবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সংবাদ সংগ্রহের জন্য প্রয়োজন মতো রণকৌশল বদল করতে হবে;

১৭.   তিনি একজন রসিক হবেনঅন্তত তার উঁচু দরের রসবোধ থাকা চাই;

১৮.  তার থাকা চাই মানিয়ে চলার ক্ষমতাবিভিন্ন মানুষের সঙ্গে এবং বিভিন্ন অবস্থার সংগে তাকে মানিয়ে চলতে হবে;

১৯.  তাকে উদ্যোগী হতে হবে;

২০.  তাকে এমন ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলতে হবে, যাতে লোকে তাঁকে পছন্দ করেঅধ্যাপক কারটিস ম্যাকডোগাল-এর মতামতগুলো বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, একজন সত্যিকারের সাংবাদিককে কতখানি গুরুদায়িত্ব পালন করতে হয়! সত্যিকারের সাংবাদিকতা সত্যিই একটি কঠিন বিষয়!

এ ছাড়াও একজন সাংবাদিককে সবসময় নিজের বিবেকের কাছেও জবাবদিহি থাকতে হয়বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থাকলে একজন সাংবাদিক তার সাংবাদিকতার দায়-দায়িত্ব নিতে সক্ষম হয়ে ওঠেন


সাংবাদিকের অধিকার বলতেও একটা কথা আছেসে অধিকার হচ্ছে, সত্য প্রকাশের অধিকারসত্য প্রকাশে তিনি হবেন অবিচল! কিন্ত সাংবাদিক কি তথ্য গোপন করবেন? তথ্য বিকৃত করবেন? এক কথায় এর উত্তর হচ্ছে, নাহ্! তাতিনি পারেন নাসাংবাদিকতা একটি স্বাধীন পেশাএ পেশা গ্রহণ করতে কোনো ধরনের লাইসেন্স’-এর প্রয়োজন পড়ে নাতাই তথ্য বিকৃতি কিংবা তথ্য গোপন করার জন্য তার লাইসেন্স বাতিলের কোনো প্রশ্নই আসে নাকিন্তু একজন আইনজীবীর, ডাক্তারের তার পেশায় আসতে লাইসেন্স-এর দরকার পড়েএকজন আইনজীবী কিংবা একজন ডাক্তার ভুল করলে, অভিযুক্ত হলে তার লাইসেন্স বাতিল হতে পারেলাইসেন্স লাগে না বলে. একজন সাংবাদিকের দায় অনেক বেশিসমাজ তার কাছ থেকে অনেক বেশি দায়িত্বশীল আচরণ আশা করেঅধিকারের প্রশ্নে কখনো কখনো একজন সাংবাদিককে সেল্ফ সেন্সরড্’(Self-censored) হতে হয়সত্য প্রকাশে তাকে অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি ধৈর্যশীল এবং বস্তুনিষ্ঠ হতে হয়

নৈতিকতা’? সেটি আরো অনেক বড় ব্যাপার! নৈতিকতা ছাড়া একজন সাংবাদিক সাংবাদিক হওয়ার যোগ্যতাই রাখেন নাসাংবাদিকের অস্ত্র- কলমতিনি যা ইচ্ছা, তা-ই লিখতে পারেনএ ব্যাপারে তিনি স্বাধীন! কিন্তু স্বাধীনতা মানে যথেচ্ছাচার নয়তাকে দেশের আইন, সংস্কৃতি, রুচি মাথায় রেখে কলম ধরতে হয়এর সাথে আরো একটা প্রশ্ন জড়িতসেটি হচ্ছে, মানবিক বোধের বাইরে তিনি কিছুই করতে পারেন নাএকজন মানবিক বোধসম্পন্ন মানুষই কেবল সাংবাদিক হওয়ার যোগ্যতা রাখেনএ ব্যাপারে প্রেস কাউন্সিল প্রণীত আচরণ বিধি উল্লেখ করা যেতে পারে

বাংলাদেশ সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা এবং সাংবাদিকদের জন্য অনুসরণীয় আচরণবিধি, ১৯৯৩ ( ২০০২ সালে সংশোধিত) প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট, ১৯৭৪-এর ১১ : (বি) ধারা অনুযায়ী সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা এবং সাংবাদিকদের জন্য অনুসরণীয় আচরণ বিধিতে বলা হয়েছে-

১. জাতিসত্তা বিনাশী এবং দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা ও সংবিধান বিরোধী বা পরিপন্থী কোনো   সংবাদ অথবা ভাষ্য প্রকাশ না করা;

২. মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও অর্জনকে সমুন্নত রাখা এবং এর বিরুদ্ধে প্রচারণা থেকে বিরত থাকা;

৩. জনগণকে আকর্ষণ করে অথবা তাদের ওপর প্রভাব ফেলে এমন বিষয়ে জনগণকে অবহিত রাখা একজন সাংবাদিকের দায়িত্বজনগণের তথা সংবাদপত্রের পাঠকগণের ব্যক্তিগত অধিকার ও সংবেদনশীলতার প্রতি পূর্ণ সম্মানবোধসহ সংবাদ ও সংবাদভাষ্য রচনা ও প্রকাশ করা;

৪.  সংবাদপত্র ও সাংবাদিকের প্রাপ্ত তথ্যাবলির সত্যতা ও নির্ভুলতা নিশ্চিত করা;

৫.  বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য কোনোরূপ শাস্তির ঝুঁকি ছাড়াই জনস্বার্থে প্রকাশ করাএ ধরনের জনস্বার্থে প্রকাশিত সংবাদ যদি সৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে থাকে এবং প্রাপ্ত তথ্য যৌক্তিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য বিবেচিত হয়, তবে এ ধরনের প্রকাশিত সংবাদ থেকে উদ্ভূত প্রতিকূল পরিণতি থেকে সাংবাদিককে রেহাই দেয়া;

৬.  গুজব ও অসমর্থিত প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে সেগুলোকে চিহ্নিত করা এবং যদি এ সব প্রকাশ করা অনুচিত বিবেচিত হয়, তবে সেগুলো প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকা;

৭.  যে সকল সংবাদের বিষয়বস্তু অসাধু এবং ভিত্তিহীন অথবা যেগুলোর প্রকাশনায় বিশ্বাস ভঙ্গের আশংকা আছে, সে সকল সংবাদ প্রকাশ না করা;

৮. সংবাদপত্র ও সাংবাদিক বিতর্র্কিত বিষয়ে নিজস্ব মতামত জোরালোভাবে ব্যক্ত করার অধিকার রাখেন, কিšত্ত এরূপ করতে গিয়ে :
                    
(ক)       সত্য ঘটনা এবং মতামতকে পরিচ্ছন্নভাবে প্রকাশ করা;

(খ)       পাঠককে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে কোনো ঘটনাকে বিকৃত না করা;

(গ)        মূলভাষ্যে অথবা শিরোনামে কোনো সংবাদকে বিকৃত না করা বা
            অসাধুভাবে চিহ্নিত না করা;

(ঘ)        মূল সংবাদের ওপর মতামত পরিচ্ছন্নভাবে তুলে ধরা

৯.    কুৎসামূলক বা জনস্বার্থ পরিপন্থী না হলে বাহ্যত ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থবিরোধী হলেও যথাযথ কর্তৃপক্ষ স্বাক্ষরিত যে কোনো বিজ্ঞাপন  সংবাদপত্রে প্রকাশের অধিকার সম্পাদকের আছেকিন্তু এরূপ বিজ্ঞাপনের প্রতিবাদ করা হলে সম্পাদককে তাবিনা খরচে মুদ্রণের ব্যবস্থা করা;

১০.   ব্যক্তি অথবা সম্প্রদায়বিশেষ সম্পর্কে তাদের বর্ণ, গোত্র, জাতীয়তা, ধর্ম অথবা দেশগত বিষয় নিয়ে অবজ্ঞা বা মর্যাদা হানিকর বিষয়  প্রকাশ না করাজাতীয় ঐক্য সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সাম্প্রদায়িকতাকে কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করা;

১১.   ব্যক্তিবিশেষ, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান অথবা কোনো জনগোষ্ঠী বা বিশেষ শ্রেণীর মানুষ সম্পর্কে তাদের স্বার্থ ও সুনামের ক্ষতিকর কোনো কিছু যদি সংবাদপত্র প্রকাশ করে তবে পক্ষপাতহীনতা ও সততার সাথে সংবাদপত্র বা সাংবাদিকের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান/ সংস্থাকে দ্রুত এবং সংগত সময়ের মধ্যে প্রতিবাদ বা উত্তর দেয়ার সুযোগ প্রদান;

১২.  প্রকাশিত সংবাদ যদি ক্ষতিকর হয় বা বস্তুনিষ্ঠ না হয়, তবে তাঅবিলম্বে প্রত্যাহার, সংশোধন বা ব্যাখ্যা করা এবং ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষমা প্রার্থনা করা;

১৩.  জনগণকে আকর্ষণ করে অথচ জনস্বার্থ পরিপন্থী চাঞ্চল্যকর মুখরোচক কাহিনীর মাধ্যমে পত্রিকা কাটতির স্বার্থে রুচিহীন ও অশালীন সংবাদ এবং অনুরূপ ছবি পরিবেশন না করা;

১৪.  অপরাধ ও দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে সংবাদপত্রের যুক্তিসংগত পন্থা অবলম্বন করা;

১৫. অন্যান্য গণমাধ্যমের তুলনায় সংবাদপত্রের ব্যাপ্তি ও স্থায়িত্ব তুলনামূলকভাবে বেশি; এ কারণে যে সাংবাদিক সংবাদপত্রের জন্য লিখবেন তিনি সূত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা ও সংবাদের সত্যতা সম্পর্কে বিশেষভাবে সাবধান থাকা এবং ঝুঁকি এড়ানোর জন্য সূত্রসমূহ সংরক্ষণ করা;

১৬. কোনো অপরাধের ঘটনা বিচারাধীন থাকাকালীন সব পর্যায়ে তার খবর ছাপানো এবং মামলা বিষয়ক প্রকৃত চিত্র উদঘাটনের জন্য  আদালতের চূড়ান্ত রায় প্রকাশ করা সংবাদপত্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়েতবে বিচারাধীন মামলার রায় প্রভাবিত হতে পারে, এমন কোনো মন্তব্য বা মতামত প্রকাশ থেকে চূড়ান্ত ঘোষণার আগ পর্যন্ত সাংবাদিককে বিরত থাকা;

১৭. সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কিত পক্ষ বা পক্ষসমূহের প্রতিবাদ সংবাদপত্রটিতে সমগুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ছাপানো এবং সম্পাদক প্রতিবাদলিপির সম্পাদনাকালে এর চরিত্র পরিবর্তন না করা;

১৮.  সম্পাদকীয়ের কোনো ভুল তথ্যের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ যদি প্রতিবাদ করে, তবে সম্পাদকের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে একই পাতায় ভুল সংশোধন করে দুঃখ প্রকাশ করা;

১৯.  বিদ্বেষপূর্ণ কোনো খবর প্রকাশ না করা;

২০.  সম্পাদক কর্র্তৃক সংবাদপত্রের সকল প্রকাশনার পরিপূর্ণ দায়িত্ব স্বীকার করা;

২১.  কোনো দুর্নীতি বা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আর্থিক বা অন্য কোনো অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রতিবেদকের উচিত ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে সাধ্যমতো নিশ্চিত হওয়া এবং প্রতিবেদককে অবশ্যই খবরের ন্যায্যতা প্রতিপন্ন করার মতো যথেষ্ট তথ্য যোগাড় করা;

২২.  প্রতিবাদ হয়নি এমন দায়িত্বশীল প্রকাশনা খবরের উৎস হতে পারে, তবে পুনঃর্মুদ্রণ করা হয়েছে নিছক এই অজুহাতে কোনো  সাংবাদিক কোনো সাংবাদিকের কোনো খবর সম্পর্কে দায়িত্ব না এড়ানো;

২৩.  সমাজের নৈতিক মূল্যবোধের অধঃপতন তুলে ধরা সাংবাদিকের দায়িত্ব, তবে নারী-পুরুষ ঘটিত অথবা কোনো নারী সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে একজন সাংবাদিকের অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা;

২৪.  কোনো ব্যক্তি সংবাদপত্র, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকরূপে চাকরি গ্রহণকালে আচরণবিধির পরিশিষ্টে উল্লিখিত শপথনামা সম্পাদকের সামনে পাঠ এবং স্বাক্ষরদান করতে বাধ্য থাকা;

২৫.  প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট, ১৯৭৪-এর ১১ (বি) ধারা অনুযায়ী সংবাদপত্র প্রকাশক আচরণবিধির পরিশিষ্টে উল্লিখিত শপথনামা পাঠ ও স্বাক্ষর করতে বাধ্য থাকা

আচরণ বিধি দ্বারা একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছেসেটি হচ্ছে, একজন সাংবাদিক ঘটনা দ্বারা প্রভাবিত হবেন না; কিন্তু ঘটনা সম্পর্কে তিনি সংবেদনশীল থাকবেননিজেকে একটি নিরপেক্ষ জায়গায় রেখে ঘটনাকে বিশ্লেষণ করবেনঘটনা বিচার করবেন যুক্তি ও কারণ দিয়ে; আবেগ দিয়ে নয়তাকে মনে রাখতে হবে যে, কোনো কারণ ছাড়া কোনো ঘটনা ঘটে নাঘটনার পেছনে অবশ্যই  কোনো না কোনো কারণ আছেচোখের সামনে যা দেখছি, তাসত্যি নাও হতে পারেকখনো কখনো বোঝার ভুলও হতে পারেচুলচেরা বিশ্লেষণই একজন সাংবাদিককে সত্যসন্ধানী হিসেবে গড়ে তুলতে পারে


আরো একটি কথা মনে রাখা দরকারতাহচ্ছে, একজন সাংবাদিক কিন্তু বিশেষজ্ঞ ননতিনি একজন বিশেষজ্ঞ এবং পাঠক-দর্শক-শ্রোতাদের মাঝে সেতু বন্ধন করেন মাত্রতবে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কাজ করতে করতে তার মধ্যে একধরনের এক্সপারটাইজ ডেভেলপ’(Expertise Develop) করেএজন্য অবশ্য একজন সাংবাদিককে অনেক বেশি সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি সচেতন হতে হয়তাকে এ সব বিষয়ে প্রচুর পড়াশুনা করতে হয়এ ছাড়াও দেশের আইনব্যবস্থা সম্পর্কেও তাকে সম্যক ধারণা রাখতে হয়

সাংবাদিকতা করবো অথচ আইন সম্পর্কে কিছুই জানবো না, সংবিধান পড়বো না, তাহয় নাসাংবাদিকতা করতে গেলে প্রথমেই সংবিধানখানি পড়ে নিতে হয়কোনো খবরে সংবিধান লংঘন হচ্ছে কিনা, আদালত অবমাননা হচ্ছে কিনা, কারো মানহানি ঘটাচ্ছি কিনা, তালক্ষ রাখা দরকারকারণ মানহানিনামে একটি শব্দ আছে, যার মুখোমুখি একজন সাংবাদিককে হওয়া লাগতে পারেএ জন্য নিজেকে তৈরি রাখতে হয়মানহানিকর খবর ছাপার আগে সেই খবরটি ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করতে হয়তানা-হলে তাকে আইনের কাঠগোড়ায় দাঁড়াতে হতে পারেঅসত্য, ভারসাম্যহীন এবং তথ্যবিকৃতির দায়ে তার সাজাও হতে পারেতাই সাংবাদিকতা অনেক বড় দায়িত্বশীল পেশাএকে অন্যান্য পেশার মতো দেখার সুযোগ নেই

অপরাধ প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে একজন সাংবাদিককে অনেকে বেশি সতর্ক থাকতে হয়কারণ, একজন ব্যক্তি অভিযুক্তহলেই যে তিনি অপরাধীহয়ে যাবেন, এমন কোনো কথা নেইযতক্ষণ না আদালত তাকে অপরাধীহিসেবে রায় দেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি অভিযুক্তহতে পারেন, কিন্তু অপরাধী ননকখনো কখনো প্রকাশিত সংবাদে একজন অভিযুক্তকে সন্ত্রাসী’,‘খুনিহিসেবে উল্লেখ করা হয়এটি কখনোই এভাবে উল্লেখ করা উচিত নয়কারণ, আদালতের রায়ে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হতে পারেনতিনি নির্দোষ প্রমাণিত হলে, তিনি প্রকাশিত সংবাদকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেনমানহানির মামলা করতে পারেন

একজন সাংবাদিক কিন্তু পুলিশ ননতাই তিনি কাউকে জেরা করতে পারেন নাতিনি শুধু ঘটনা সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারেন, কী হয়েছে, কীভাবে হয়েছে, তাতিনি কৌশলে জেনে নেবেনকেন ঘটনাটি ঘটেছে কিংবা  কেন ঘটে নি, তাতার কৌতূহলী চোখ, সন্দেহপ্রবণ মন এবং বিশ্লেষণী যুক্তি দিয়ে বিচার করবেননিজেকে কখনো পুলিশের ভূমিকায় নামানো যাবে নাকখনো কখনো আমরা এই বড় ভুলটা করে ফেলিএ ব্যাপারে সদা সতর্ক থাকাই বুদ্ধিমানের কাজতবে তথ্য সংগ্রহ করার পদ্ধতি হিসেবে তিনি একেবারে সাধারণ মানুষের কাতারে মিশে যেতে পারেন, অনেকটা একজন গোয়েন্দার মতোইকিন্তু তাকে মনে রাখতে হবে, তিনি গোয়েন্দা সংস্থায় চাকরি করছেন না; তিনি একজন সত্যসন্ধানী মানুষ! সত্যকে আলোয় আনাই তার কাজ! বরং তার সংবাদের সূত্র ধরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তদন্তের কোনো ধারা খুঁজে পেতে পারেনতবে এ ক্ষেত্রেও বস্তুনিষ্ঠতার স্বাক্ষর রাখতে হবে



ইদানিং মফস্বল সাংবাদিকতার ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিক জনগণ প্রত্যক্ষ করছেনমফস্বল শহরে সাহসী সাংবাদিকতা করা সত্যিই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছেতারপরও অনেক সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকতা করে থাকেনতিনি যাদের বিরুদ্ধে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পাঠান, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সরাসরি তাদের গায়ে হাত তোলেন কিংবা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেনকখনো কখনো জীবন বাঁচাতে সাংবাদিককে বাড়ি-ঘর পর্যন্ত ছাড়তে হয়সাধারণত এসব ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ সরকারি কোনো কর্মকর্তা কিংবা প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী হয়ে থাকেনতাদের দাপটে সৎ সাংবাদিককে সব সময় সতর্ক থাকতে হয়অথচ তার কোনো নিরাপত্তাআইন প্রয়োগকারী সংস্থা কিংবা পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করতে পারে না

ফলে তারা কী করবেন ভেবে পান নাহতাশায় ভোগেনঅন্যদিকে, কিছু সাংবাদিক আছেন যারা তাদের দায়িত্ববোধের কথা ভুলে যানখবর প্রকাশের ভয় দেখিয়ে কারো কারো কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে থাকেনতাদেরকে সাধারণ জনগণ সাংবাদিক না-বলে সাংঘাতিকবলে অভিহিত করেনএতে করে সৎ সাংবাদিকেরা বিব্রতবোধসহ লজ্জায় পড়ে যানসাংবাদিকতার ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দৈনিকের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক চাঁদাবাজির অভিযোগে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেনএ ব্যাপারে বিহিত করতে পারেন সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যমসহ স্থানীয় সাংবাদিকগণসাংবাদিকতাকে কোনোভাবেই প্রশ্নের মুখোমুখি করা যাবে নাএখনো এদেশের মানুষ সাংবাদিকদের শ্রদ্ধার চোখে দেখেন; এ কথা ভুলে যাওয়া উচিত হবে না



পরিশেষে, বলতে চাই- একজন সাংবাদিকের কাজের ঝুঁকি অনেকঝুঁকি মাথায় নিয়েই একজন সাংবাদিককে কাজ করতে হয়ঝুঁকি না-নিলে সৎ সাংবাদিকতা করা যায় নাএকজন নির্ভীক সাংবাদিকই শেষ পর্যন্ত তার দায়-দায়িত্ব পালনে সক্ষম হন এবং তার লেখা/দেয়া সংবাদই এক সময় ইতিহাস তৈরি করতে পারেইতিহাস তৈরির দায়-দায়িত্ব-ই একজন সাংবাদিককে অধিকতর দায়িত্বশীল করে তুলতে পারে বলে সবাই বিশ্বাস করেনএকজন সাংবাদিককে অবশ্যই তাসব সময় মনে রাখতে হবেপূর্বসূরীদের কাজ অন্তত সেই কথাই আমাদের মনে করিয়ে দেয়!!

লেখা শেষ করা যায় Jean Louis Servan –এর সেই উক্তি দিয়ে, যা আমাদের সাংবাদিকতার বিশাল দায়িত্বের কথা আবারও একবার গুরুত্বসহকারে মনে করিয়ে দেয় -

“And then , Professional adventure can turn into tragedy. Although not elected by the people, not serving in the army, not appointed to official missions, but doing their reporting job, Journalists are killed in all sorts of wars– Vietnam, Biafra, Algeria, Ireland.”

 তথ্যসূত্র- 

১. বিষয়: সাংবাদিকতা- পার্থ চট্টোপাধ্যায়- লিপিকা , কলকাতা, ৩য় সংস্করণ,  
১৯৯০.           
২.  মানুষ মাধ্যম ও যোগাযোগ- মূল- উইলবার শ্রাম, বাংলা একাডেমী, ঢাকা,
     জুন, ১৯৯৩.        
৩. প্রেস কাউন্সিল প্রণীত আচরণ বিধি.

প্রকাশ- বিজেআর (বাংলাদেশ জার্নালিজম রিভিউ), ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, ২০০৮