- আশিস বিশ্বাস, অনলাইন সংবাদকর্মী, মেইল: ashishbiswas@rocketmail.com
Farjana Siraj |
‘নারী নিজের শরীরকে ট্যাবু বানিয়ে ফেলেছেন...তারা মনে করেন, নারীর শরীর নিষিদ্ধ কিছু...! তারাও যে রক্তেমাংসে গড়া মানুষ, সে কথা তারা একেবারেই ভুলে গেছেন। তারা নিজেদের দাসী বলে মনে করেন। আর সে কারণে পুরুষরা তাদের দাসী বলেই মনে করেন আর নিজেদের চিন্তা করেন ঈশ্বর হিসেবে...!’ এই অসচেতনতার কারণে নারী বিভিন্ন ধরনের রোগশোকে ভুগে থাকেন। অথচ একটু সচেতন হলেই অনেক সমস্যা থেকে তারা রেহাই পেতে পারেন! তারা ‘সবুজ নারী’তে পরিণত হতে পারেন। সবুজ যেমন সুস্থতা, শুদ্ধতা, উচ্ছ্বলতার প্রতীক, নারীও তাই। নারী সবুজ হোক, সুস্থ থাক, সে কারণে নারীকে ‘সবুজ নারী’ত পরিণত করতে চাই!’
এ কথাগুলো বলছিলেন, ফেসবুকে একক চেষ্টায় গড়ে তোলা ‘Green Women’ ক্যাম্পেইনের মূল সংগঠক ফারজানা সিরাজ। তিনি ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। বাড়ি বৃহত্তর কুষ্টিয়ার চুয়াডাঙ্গায়। থাকেনও সেখানে। সেখান থেকেই ফেসবুকে গড়ে তুলেছেন ‘Green Women’ ক্যাম্পেইন।
যৌথপরিবারে বড় হয়েছেন বলে সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার মনোভাব গড়ে উঠেছে ফারজানা সিরাজের মধ্যে। এ ছাড়া বাবা সিরাজুল ইসলাম বাউল ঘরানার মানুষ হওয়াতে সব ধরনের মানুষের বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল। এতে করে সমাজ সেবামূলক দায়টা নিজের জীবনবোধের মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন ফারজানা সিরাজ। তার বাবাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। পেশায় শিক্ষকতা।
Farjana Siraj |
এ ছাড়া নিজের কৈশোরের ভুল সিদ্ধান্ত এবং তার খেসারত দেওয়া নিজের চেতনাকে আরো শাণিত করেছে। কিন্তু মা-বাবার ক্ষমার মহান যোগ্যতা দেখে ফারজানা সিদ্ধান্ত নেন বাবার মতোই মানবসেবা করবেন। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত নারীকে টেনে আনবেন সমাজের মূলধারায়। ফারজানা তার সবকাজে মা হাসিনা মমতাজের সহযোগিতা পেয়েছেন। পাশে থেকে তিনি সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন। এখনো দিচ্ছেন। এই উৎসাহ ফারজানার মানসিক শক্তিকে দ্বিগুণ করেছে।
ফারজানা সিরাজ জানালেন, তার মানসপট তৈরিতে রত্মা খালার অবদান অপরিসীম। তিনি তাকে বই কিনে দেওয়া থেকে শুরু করে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন। তার সব আবদার মিটিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বড় হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে রত্মা খালার অবদান মায়ের মতো। মা বলতে যা বোঝায়, তাকে তাই বুঝেছি। বই বলেন, আবদার বলেন রত্মা খালাই সব কিছু মিটিয়েছেন।’
বাবার কথা বলতে গিয়ে ফারজানা বলেন, ‘মানুষকে মানুষ হিসেবে বলতে শেখা, মানুষকে মানুষ ভাবা, তা বাবা সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে পেয়েছি। আর যৌথ পরিবারের কারণে সামাজিক হওয়ার চেতনা পেয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘নানা-নানির ১১ জন ছেলে-মেয়ে। ফলে, তাদের ছেলে-মেয়ের সঙ্গে একসাথে বড় হয়েছি। হৈ হুল্লোড় করা থেকে সবকাজ আনন্দের সঙ্গে করেছি। যৌথপরিবারের সুফলটা ভোগ করেছি।’
Discussion at TSC |
Green Women (সবুজ নারী) ক্যাম্পেইন
কীভাবে ‘গ্রিন উইমেন’ ফেসবুক ক্যাম্পেইনটা শুরু হলো সে বিষয়ে বলতে গিয়ে ফারজানা সিরাজ জানালেন, পারিবারিক মূল্যবোধ এ বিষয়ে মূল ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া কৈশোর জীবনে যখন তিনি উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষে পড়ছেন, তখন তার এক সহপাঠীকে বিয়ে করে ফেলেন। এরপর তিনি তাকে নিয়ে আলাদা বাসা ভাড়া করে পড়াশুনার পাশাপাশি জীবিকার জন্য শিক্ষকতার পেশায় প্রবেশ করেন। কিন্তু তিনি যাকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন, তিনি নারী প্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান। তিনি মনে করতেন, মেয়েরা বেশি পড়াশুনা করলে বখে যায়! দুজনের ভিন্ন সংস্কৃতি ও সামাজিক অবস্থান ফারজানা সিরাজের এগিয়ে চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। একটি ছেলে সন্তানের জন্মদানের পরেও শ্বশুরবাড়িতে তাকে মেনে নেওয়া হয়নি। স্বামী-সন্তানের শ্বশুরবাড়িতে অবাধ যাতায়াতের সুযোগ থাকলেও তার প্রবেশের অধিকার ছিল না। এ বিষয়ে তার সঙ্গীর অবহেলা ফারজানার মনে আঘাত দেয়।
ইংরেজি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ফারজানা পরবর্তীতে একাই পথ চলার সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় তিনি সংবাদমাধ্যমে একটি খবর পড়েন, জরায়ু ক্যান্সার বিষয়ে। নারীর অসচেতনতা, কুসংস্কার ও নারী তার শরীরকে ট্যাবু হিসেবে বিবেচনা করায় এ ক্যান্সার প্রতিরোধে অন্যতম বাধা হিসেবে জানতে পারেন তিনি। এরপর তিনি এ বিষয়ে আরো পড়াশুনা শুরু করেন। তিনি জানতে পারেন, গরিব ও নিরক্ষর পরিবারের মেয়েদের পিরিয়ডের সময় স্যানিটার ন্যাপকিনের বদলে কাপড় ব্যবহার করেন। কিন্তু ব্যবহার পরবর্তী এই কাপড় রোদে শুকাতে পারেন না বাবা, ভাই, বন্ধু, স্বামী কিংবা পুরুষরা জেনে ফেলবে এই লজ্জায়। এ কারণে তারা এই কাপড় আড়ালে-আবডালে কিংবা ভেজা অবস্থাতেই জড়িয়ে রাখেন। এই নোংরা কাপড় ব্যবহার মেয়েদের জরায়ু ক্যান্সারের জন্ম দিতে পারে। কোনো নারীর একবার জরায়ু ক্যান্সার হলে তা অপারেশন করতে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা খরচ হয়। অথচ এই অর্থ যোগাড় করা তাদের পক্ষে সম্ভবপর হয় না। এ কারণে অকালে প্রাণ হারান অসংখ্য নারী। কিন্তু একটু সাহস ও আত্মবিশ্বাস থাকলেই এ সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব।
Discussion at TSC in Dhaka University |
এরপরেই ফারজানা সিরাজ সিদ্ধান্ত নেন, ফেসবুকে নারীর যৌনস্বাস্থ্য বিষয়ক ক্যাম্পেইন শুরু করবেন। ক্যাম্পেইনে যে অর্থ সংগৃহীত হবে, তা দিয়ে সুবিধাবঞ্চিত কর্মজীবী নারীদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে সচেতন করবেন এবং বিনামূল্যে তা বিতরণ করবেন। তারপর তিনি চলতি মাসে (অক্টোবর, ২০১৬) ফেসবুকে ‘Green Women’ শিরোনামে ফেসবুকে ক্যাম্পেইন শুরু করেন। স্লোগান দেন, "Donate A Pad For A woman. "
তিনি ধারণা করেছিলেন, হয়ত তেমন একটা সাড়া পাবেন না। কিন্তু তার ফেসবুক বন্ধুদের সাড়া দেখে অবাক হয়ে যান তিনি। গ্রিসে থাকা এক বন্ধু অনিন্দ্য শ্রাবণ তাকে এক হাজার টাকা পাঠিয়ে জানান, কাজ দেখাতে পারলে অনুদানের অর্থ জ্যামিতিক হারে বাড়বে। এরপর সুইডেন প্রবাসী এক বোন তাকে অর্থ পাঠিয়ে উৎসাহ দেন।
এ ছাড়া পরিচিত এক ছোট বোন শামসুন্নাহার বিনা প্রথম ২০ টাকা বিকাশ করেন এবং জানান, তিনিও তার সঙ্গে কাজ করবেন। মা হাসিনা মমতাজ ফারজানাকে ৫০ টাকা অনুদান দেন, কাজে উৎসাহ দিতে।
এরপর এগিয়ে আসেন ফেসবুক বন্ধু মোস্তাফিজুর রহমান রবিন, হোসেন হৃদয়, কাব্যিক রবি। তারাই এখন মাঠপর্যায়ের কাজে সরাসরি সহযোগিতা করছেন ফারাজানা সিরাজকে।
ফারজানা বলেন, ‘অনিন্দ্য শ্রাবণ, তার বন্ধু ও শামসুন্নাহার বিনার পর অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ুয়া মোস্তাফিজুর রহমান রবিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মিউজিক বিষয়ে পড়ুয়া হোসেন হৃদয় ও কাব্যিক রবি আমার সাহায্যে এগিয়ে আসে।’ তিনি বলেন, ‘এরপর আরো অনেকেই আমার সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন।’
তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া পাবনা থেকে এগিয়ে আসেন ইফতেখারুল ইসলাম শুভ্র। তিনি বিকাশে টাকা পাঠানো ছাড়াও যেদিন আমরা টিএসসিতে আলোচনায় (১২ অক্টোবর,২০১৬) বসি, সেও আসে। এখানেই আমরা পরিকল্পনা করি, কীভাবে গ্রিন উইমেনদের সাহায্য করা যায়।'
ফারজানা বলেন, 'অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। তবে রাসিব আর রিয়াজের কথা না বললেই নয়। রিয়াজ চট্টগ্রামে বসেই আমাদের সময় ও অনুপ্রেরনা দিয়েছেন।'
Farjana Siraj |
স্যানিটারি ন্যাপকিন ডোনেশন পরিকল্পনা
ফারজানা সিরাজ বলেন, ‘আমি চুয়াডাঙ্গা থাকি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আলোচনা করার জন্য আমি চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় আসি। সেখানে উপস্থিত হয়, মোস্তাফিজুর রহমান রবিন, হোসেন হৃদয় ও কাব্যিক রবি। আমরা আলোচনা করে ঠিক করি, প্রথম পর্যায়ে দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের মধ্যে ৭টিতে ২০০ জন করে সুবিধাবঞ্চিত কর্মজীবী নারীদের মধ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। বিভাগীয় পর্যায় শেষ হলে জেলা পর্যায়ে। এভাবে ৬৪ জেলায় এবং পরবর্তীতে উপজেলা থেকে গ্রামেও এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। সেই সঙ্গে ফেসবুকে ক্যাম্পেইন চলতে থাকবে। যখন যে এলাকায় যাবো, সেখানকার সবাইকেও আহ্বান জানানো হবে, এ কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার জন্য।’
এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথমেই তারা ঢাকায় ২০০ জনকে স্যানিটারি ন্যাপকিন সহায়তা করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। যে কথা, সেই কাজ।
ফারজানা বলেন, ‘সেই দিনই আমরা নীলক্ষেতে যাই,। গ্রিন উইমেনের লোগো ছাপিয়ে ২০০ স্যানিটারি প্যাড কিনে আমরা সংসদ ভবনের উত্তরদিকের চন্দ্রিমা উদ্যানে চলে যাই। আমরা চারজন মিলে এই প্যাডে লোগো লাগাতে বসে যাই। এক সময় পুলিশ এসে জানতে চায়, কী করছি। আমাদের কার্যক্রমের কথা জেনে তারা চলে যায়।
At Chandrima Uddyan, Agargaon, Dhaka |
তিনি জানান, ‘এরপর সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বাসে উঠে পড়ি। মৌচাক পৌঁছাতে আমাদের বিকেল সাড়ে তিনটা বেজে যায়। আমি, রবিন ও হোসেন হৃদয় সেই গার্মেন্টসে পৌঁছাই। তখন বিকেল চারটা।
সাদমান ফ্যাশনওয়্যারের এনকে নিটওয়্যার |
সহযোগিতায় সাদমান ফ্যাশনওয়্যারের এনকে নিটওয়্যার
ফারজানা জানালেন, ‘মৌচাকের সাদমান ফ্যাশনওয়্যারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এনকে নিটওয়্যারে পৌঁছালে সেখানকার কর্তৃপক্ষ আমাদের সাদরে অভ্যর্থনা জানান। তারা আমাদের জন্য লাঞ্চের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তখন আমাদের মাথায় স্যানিটারি ন্যাপকিন কীভাবে বিতরণ করবো, সে চিন্তাই শুধু ঘুরপাক খাচ্ছিল। ফলে, আমরা তাদের কনফারেন্স রুমে বসে যাই, বিতরণের সামগ্রী প্রস্তুত করতে।
এনকে নিটওয়্যারে মোট ৫শ কর্মী কাজ করেন। আমরা বলেছিলাম, ২০০ নারী কর্মীকে নিয়ে আমরা আলোচনা করবো এবং তাদের মাঝে প্যাড বিতরণ করবো।
In discussion |
বিকেল পাঁচটার দিকে কনফারেন্স রুমে আমরা নারী কর্মীদের নিয়ে আলোচনায় বসি। পিরিয়ড চলার সময় কাপড় ব্যবহারের নেতিবাচক দিক ও স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের সুবিধা নিয়ে আলোচনা করি। প্রথমে তারা লজ্জাবোধ করলেও পরে সহজ হয়ে যান। বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকেন। এ সময় তারা তাদের এই আর্থিক অবস্থায় স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনা কষ্টকর বলে জানান। কিন্তু তখন তাদের জানাই, প্রতিদিনের খরচ থেকে মাত্র দুই টাকা করে ঘরে কোথাও জমা করতে। পরে মাস শেষে জমা হওয়া ৬০ টাকা দিয়ে স্যানিটারি প্যাড কিনতে বলি। তারা তাতে সম্মতি জানান।’
ফারজানা জানালেন, ‘এই আলোচনার ফাঁকে একজন দুইজন করে পুরুষ কর্মীও আলোচনা শুনতে আসেন। তাদের সঙ্গেও কথা হয়। তাদের সঙ্গে আলোচনায় অনেকের স্ত্রীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন তারা। তাদের সঙ্গে আলোচনায় আমাদের কার্যক্রমে নতুন আরেক বিষয় যোগ করার চিন্তা আসে। সেটা হলো, প্রতিমাসে এই সব গার্মেন্টস কারখানাসহ সুবিধাবঞ্চিত কর্মজীবী নারী-পুরুষদের সঙ্গে আলোচনা ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একজন করে স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসককে আনা।
https://www.facebook.com/farjana.shiraj/videos/224777734606781/
গ্রিন উইমেনের লোগো
ফারজানা জানান, তাদের কাজের সুবিধার্থে একটি লোগো ব্যবহারের চিন্তা করেন। এরপর তিনি গ্রিন উইমেনের লোগো তৈরি করে দেওয়ার জন্য ফেসবুকে আহ্বান জানান। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঐশী নামে একটি মেয়ে লোগো তৈরি করে দেন। লোগোতে নারী এবং নারীকে সবুজ হিসেবে দেখানো হয়। লোগোটিকে ওয়েব ডিজাইনে রূপ দেন পাবনার শুভ্রের এক বন্ধু শুভ।
নারী কেন সবুজ
নারীকে কেন সবুজ বলছেন জানতে চাইলে গ্রিন উইমেনের সংগঠক ফারজানা সিরাজ বলেন, নারী হবে শুদ্ধতা, সুস্থতা, কৈশোর, উচ্ছ্বলতার প্রতীক। নারীকে সবুজ গাছের সঙ্গে তুলনা করে ফারজানা বলেন, ‘সবুজ হচ্ছে সুস্থতার প্রতীক। নারী সদা সবুজ থাক। নারী সর্বদা সবুজ থাক, ঝলমলে থাক, সুস্থ থাক’ গ্রিন উইমেনের উদ্দেশ্য তাই।
পরবর্তী কর্মসূচি রাজশাহীর গোদাগাড়ী
আগামী ২৬ অক্টোবর নারীর যৌনস্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে আলোচনা করতে ও ২০০ প্যাড বিতরণ করতে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ওই এলাকার আগ্রহীদের আলোচনায় হাজির হতে ফেসবুকে আহ্বান জানিয়েছেন ফারজানা সিরাজ। এলাকার সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পেশাজীবীরা তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এটা হবে ফারজানার গ্রিন উইমেনের দ্বিতীয় কর্মসূচি। পরবর্তীতে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে রংপুর ও খুলনায়। এরপর ধারাবাহিকভাবে বিভাগীয় শহর শেষ করে জেলা পর্যায়ে কর্মসূচি শুরু করবেন ফারজানা।
তিনি জানান, এরপর তিনি চেষ্টা করবেন, সুবিধাবঞ্চিত কর্মজীবী নারীদের জন্য তিন টাকা দামের স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করতে। তার এই কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু করেছেন তিনি।
ফারজানা সিরাজের পরিচিতি
Fajana Siraj |
আর ছেলে সোহাইল ইব্রাহিম (সাড়ে চার বছর) ফারাজানা সিরাজের একমাত্র অনুপ্রেরণা গ্রিন উইমেন ক্যাম্পেইনের।
Son Sohail Ibrahim and Farjana Siraj |
https://www.facebook.com/farjana.shiraj